জামালপুরের সরিষাবাড়িতে গত ৪ বছরেও পুন: নির্মাণ করা হয়নি বন্যায় ভেঙ্গে পড়া ঝিনাই নদীর ব্রিজটি। যে কারণে ৪ বছর যাবত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩০ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে। কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে চরম কষ্টে পারাপার করছে কৃষকেরা। মুমূর্ষ রোগী ও শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতে সময়ের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সারা বছর। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরিষাবাড়ি উপজেলার কামরাবাদ ইউনিযনের মাঝ দিয়ে বযে যাওয়া শুয়াকৈব গ্রাম এলাকায় ঝিনাই নদীর উপরে ২০০৫ সালে ২০০ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সালের বন্যায পানির প্রবল ¯্রােতে ব্রিজের ৪ টি পিলার দেবে গিযে একটি স্প্যান ভেঙ্গে পড়ে। তারপর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সরিষাবাড়ি মাদারগঞ্জ কাজীপুর এই তিন উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের যাতাযাত করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য পরিবহন, মুমূর্ষ রোগী, প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে নেয়া, স্কুল কলেজের ছেলেমেযেদের পড়া শুনা করতে যেতে দারুন কষ্টে পড়েছে। অথচ এই পাকা রাস্তায় প্রতিদিন শত শত অটোরিকশা, ভ্যান,ট্রাক বাস চলাচল করত ৪ বছর আগে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় সে সব যান বাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট একটি ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে। ঝড় বৃষ্টির সময় যাত্রীরা নৌকা পার হতে গিয়ে নদীতে ডুবতে হযেছে কয়েকবার। কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএস আব্দুছ সালাম আমরা এলাকাবাসীরা কযেক বার ব্রিজটি মেরামতের দাবী জানিয়ে মানব বন্ধন করেছি, সভা সমাবেশ করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। শুকনো মৌসুমে নদী ছোট হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থ দিয়ে, জনগনের নিকট থেকে চাঁদা তুলে কাঠের সাঁকো করে দিয়েছি। কিন্তু বন্যার সময় আমাদের মহা বিপদে পড়তে হয়। যখন কাঠের সাঁকোটি নদীতে তলিয়ে যাঢ। সরিষাবাড়ি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ব্রিজটি মেরামতের জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস খেকে শুরু করে এসপি ডিসি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় পর্যন্ত আবেদন করেছি। তারা এসে দেখে যায়, আশ্বাস দেয় কিন্তু কাজ হয় না। দেখা পর্যন্তই। আমি নিজে এলাকার এমপি সাহরবর সাথে কথা বলে সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে আবেদন দিয়েছি। তারা শুধু বলে সময় হলেই সংস্কার করা হবে। শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল মিযা জানান, আমরা ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় ভীষন অসুবিধায পড়েছি। কোন মালামাল বাজারে নিতে পারি না। মুমূর্ষ রোগী, প্রসুতি মহিরাদের যথা সময়ে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে পারি না। তার আগেই বিপদ ঘটে যায়। অথচ শুনি বর্তমান সরকার উন্নযনের সরকার। উন্জনয়নের জোয়ারে দেশ ভেসে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামের গনি সরকার, মোজাহার ডাক্তার সর্ব প্রথম সরিষাবাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম দিয়েছে। সেই গ্রাম আজ অবহেলিত। সরিষাবাড়ি মহিলা কলেজের ছাত্রী আশা মনি জানান, ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার আমরা যথা সময়ে কলেজে যেতে পারি না, পরীক্ষার সময পরীক্ষা দিতে পারি না। পায়ে হেটে খেওয়া পার হযে সময় লাগে অনেক বেশী। আগে সময় লাগত ২০ থেকে ৩৫ মিনিট। এখন সময় লাগে ২ থেকে ৩ ঘন্টা। আমরা সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই। দ্রুত ব্রিজটি পুন:নির্মাণ করে এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম করে দিতে। সরিষাবাড়ি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম জানান, আমি ভাঙ্গা ব্রিজটি পরিদর্শন করে রিপোর্ট সংশিষ্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। কাগজ পত্রও ঠিকঠাক করে পাঠিয়ে দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজটা করে দেওয়া হবে। তবে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণে লাকাবাসী দীর্ঘদিনের ভেঙ্গে পড়া ব্রিজিটি অতি দ্রুত পুনঃ নির্মাণ করে এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুথের যাতাযাতের পথ সুগমের দাবী জানিযেন।