স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি কেউ না খেয়ে মরবে না। করোনার সময় আপনারা দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বের নেতা। কখনও তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি আবার কখনও তাকে ভ্যাকসিন হিরো বলা হয়। আমাদের দেশে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে তার ফলে তাকে ভ্যাকসিন হিরো বলা হয়। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেলিম ওসমান ব্যবসায়ী জগতে একজন ধ্রুবতারা। ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জ ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। এরও আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ বন্দরনগরী হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। শুনতে ভালো লাগে যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিটওয়্যার প্রচুর রপ্তানি হয়। আমি যেখানে গিয়েছি কাপড় উল্টে যখন দেখি মেড ইন বাংলাদেশ তখন মন ভরে যায়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। একটা বিরাট সম্ভাবনাময় জায়গায় আমরা চলে এসেছি। এটিই দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। তিনি যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন অনেকে হেসেছিল। আজ কোথায় নিয়ে গেছেন তিনি বাংলাদেশকে। সাবমেরিন কেবল ফ্রি দিতে চেয়েছিল তখন ওরা বলে দেশের তথ্য নাকি পাঁচার হয়ে যাবে। এদের বোকা বলব না কী বলব। এদের হাতে ছিল বাংলাদেশ। সারা দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে এতে আপনারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শ্রমিকরা আগে কিছু হলেই কারখানায় আগুন দিতো। এটা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো। আমরা তাদের বোঝালাম তোমরা আগুন দেবে কেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ আজ বলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। আজ যখন আপনারা পুলিশের প্রশংসা করেন আমার ভালো লাগে। আমার মনে হয় পুলিশ ভালো কাজ করছে। ভালো কাজ করলে সবাই তার প্রশংসা করবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমরা জনতার পুলিশ হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ পুলিশকে সে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ভুল করলে সে জনপ্রতিনিধি হোক আর প্রশাসনের হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তবে দায়িত্বটা আমাদের ভালোভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাত দুটোর সময় ফোন করলেও কেউ বিপদে পড়লে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলেন। ফজরের নামাজ পড়ে তারপর তিনি বিশ্রাম নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আমরা আজ সে জায়গায় আসছি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম সেলিম ওসমান প্রমুখ। এ সময় শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের সম্পদ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের ভবিষ্যৎকে মেরে ফেলা হয়েছে। শেখ হাসিনা আপনাদের সবার সম্পদ। সুতরাং আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনারা যদি চান এক দুই লাখ মানুষ মারা যায় ভেবেছেন কী হবে। এক হলি আর্টিজান হামলায় বিদেশি বায়াররা আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। আর এ সুযোগ যদি তারা পায়। ওরা একটি পদলেহনকারী গ্রুপকে বসাতে চাচ্ছে। তখন এ দেশ আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মতো হয়ে যাবে। শামীম ওসমান বলেন, আমি প্রথম যখন পার্লামেন্টে গেছি তখনই এ ডিএনডি নিয়ে কথা বলেছি। আমি বলতে বলতে একপর্যায়ে বললাম এটা করে দেবেন নয়তো পদত্যাগ করবো। তখন প্রধানমন্ত্রী এটা করে দিতে বললেন। আজ সেটার কাজ সেনাবাহিনী করছে। তিনি বলেন, এখানে সব ব্যবসায়ীরা আছেন। এখানে পলিটেকনিক্যাল স্কুল হচ্ছে, পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হবে। আরও অনেক কাজ হবে। এতে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখান থেকে সুবিধা পাবে। শামীম ওসমান বলেন, ১ হাজার ৮০০ পুলিশ দিয়ে যদি আমরা মনে করি সব হয়ে যাবে, এটা সম্ভব না। এ সমস্যাগুলোর পেছনে কিছু লোক কাজ করে। আমরা এদের সাপোর্ট করি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে চাই, কে কোন দল করে দেখার দরকার নেই। আরেকটা মাদক সমস্যা। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সবাইকে মাঠে নামতে হবে।