ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পৃথক পৃথক গ্রাম থেকে সাত দিনের ব্যবধানে ১০ টি বড় গরু চুরি হয়েছে। চোর চক্রের সদস্যরা গ্রামের প্রান্তিক খামারিদের অনেক কষ্টে লালিত-পালিত গরু গোয়ালঘর থেকে সুকৌশলে নিয়ে গেলেও তারা এখনো পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত রফিউদ্দিন খানের ছেলে রওশন আলী খানের গোয়াল ঘর থেকে রাতে দেশি ক্রস জাতের সাদা ও লাল রঙের দুইটি ষাড় গরু নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। একই গ্রামে ওই রাতেই আবদুল মজিদ খানের ছেলে মতিয়ার রহমান খানের একটি কালো রঙের গাভী গরু এবং কেরামত আলী খানের ছেলে দিপু খানের একটি গাভী ও একটি ষাঁড় গরু গোয়াল ঘর থেকে খুলে নিয়ে যায় চোরেরা। এবার চোর চক্রের সদস্যদের নজর পড়ে মৃত আলতাফ হোসেন খানের ছেলে মুকুল হোসেন খানের গোয়ালের দিকে। একই রাতে ওই গোয়াল থেকেও একটি সাদা রঙের গাভী গরু তারা চুরি করে নিয়ে যায়। মোট ছয়টি গরু চুরি করার ঘটনা উল্লেখ করে রওশন আলী খান বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। খামারিদের অনেক কষ্টে পালিত গরু এভাবে রাতের আঁধারে চুরি হওয়ায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। শুধু তাই নয় আর্থিকভাবেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে তাদের দাবি। উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর রায়গ্রাম ইউনিয়নের বুজিডাঙ্গা মনদিয়া ও ভাতঘারা নামক গ্রাম থেকে এক রাতে ৩ জন খামারির ৪ টি বড় গরু চুরি হয়ে যায়। এভাবে একের পর এক গরু চুরি হলেও চোরেরা রয়েছে অধরা।আর শংকায় রয়েছে গ্রামের অন্যান্য খামারিরা। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গরু চুরির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে থানা পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত চোরদের ধরতে সক্ষম হবো।