সকাল কীভাবে শুরু হবে এর ওপর নির্ভর করে আমাদের সারাদিন কেমন কাটবে। যদি সকালে ঘুম ভাঙে তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে তাহলে সারাদিন আপনার কষ্টে কাটবে। আর ঘুম থেকে ইঠে মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে এ বিষয়ে আপনাকে সচেতন হতে হবে। সকালে মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হলে, স্ট্রেস অনুভব করলে দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমালে ইত্যাদি কারণে। এ ছাড়া সকালে মাথাব্যথা হতে পারে আপনার শরীরের নানা পরিবর্তনের ফলেও। সাধারণত মাথাব্যথা হলে ভোর ৪টার পরে আমাদের ঘুম ভেঙে যায় অথবা যখন গুম ভাঙে তখন মাথাব্যথা আমরা অনুভব করি। সকালের মাথাব্যথা মূলত তিন কারণে হয়। সেগুলো হলো- ক্লাস্টার মাথা ব্যথা মাইগ্রেন টেনশন মাথা ব্যথা এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে এই মাথাব্যথা কমানো যাবে? ঘুমের ব্যাধির সঙ্গে সম্পর্কিত মাথাব্যথা যেমন: স্লিপ অ্যাপনিয়া, অনিদ্রা বা ব্রুকসিজমের জন্য আপনার দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এ ছাড়া মাথাব্যথা কমানোর জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন। চলুন জেনে নিই কী কী উপায়ে আপনি মাথাব্যথা কমাতে সক্ষম হবেন- আদা/তুলসী চা তীব্র মাথাব্যথায় কষ্ট পেলে আপনি এক কাপ আদা কিংবা তুলসী চা খেতে পারেন। এতে করে আপনার মাথাব্যথা দ্রুত কমবে। ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদা চা, মধু-তুলসীর চা পানে মাথাব্যথা হ্রাস পায়। তাই সকালে মাথাব্যথা দূর করার জন্য ভেজষ জাতীয় চায়ের ওপর আস্থা রাখতেই পারেন। ম্যাসাজ মাথা ব্যথা দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া উপায় হলো ম্যাসাজ। ব্যথা কমাতে চাইলে নির্দিষ্ট অংশে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন। এতে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে সকালে মাথা ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। ব্যায়ামনিয়মিত ব্যায়াম করার অনেক উপকারিতা আছে। ব্যায়াম করলে শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এতে মস্তিষ্কেও রক্তপ্রবাহ বাড়ে। ফলে মাথাব্যথার প্রকোপ কমে। যাদের সকালে ঘুম ভাঙার পরেই মাথাব্যথা শুরু হয় তারা প্রতিদিন আধা ঘণ্টা সময় নিয়ে ব্যায়াম করবেন। আর কিছু না পারলে অন্তত জোর কদমে হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে অনেক উপকার পাবেন। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন আমাদের জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন এনে কিছু অভ্যাস যুক্ত করতে সুপারিশ করে। এগুলোকে সংক্ষেপে সিডস (ঝঊঊউঝ) বলে। এস (ঝষববঢ়)- আপনি চেষ্টা করুন একটি হেলদি ঘুমের সময়সূচি ফলো করার এবং অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘুমের পরিবেশ যেন ঠাণ্ডা ও শান্ত হয়। ই (ঊীবৎপরংব)- প্রতিদিনের ব্যয়াম আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে আপনার শরীরের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়, ফলে মাথাব্যথাও কম হয়। ই (ঊধঃ)- আপনি একটি হেলদি ডায়েট ফলো করুন এবং খেয়াল রাখুন আপনার শরীর যেন হাইড্রেটেড থাকে। ডি (উরধৎু)- আপনি আপনার মাথাব্যথার সম্ভাব্য তারিখগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এটি পরবর্তীতে চিকিৎসককে জানাতে ও আপনার মাথাব্যথার কারণ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। এস (ঝঃৎবংং)- ধ্যান, যোগব্যায়াম করুন। যেসব অনুশীলন আপনাকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এটি আপনার জীবনে চাপের মাত্রা কমাবে। ফলে আপনার মাথা ব্যথা কম হবে।
সূত্র: হেলথলাইন