পৃথক দুটি দূর্ঘটনায় সড়কে সড়কে ঝরে গেল চাঁদপুরের মতলবের ৩ টি তাজা প্রাণ। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত ১৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তরে ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের চর মাছুয়া এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পরে আশিক (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত ও তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিক মিয়াজী (১৭) কে মৃত ঘোষণা করেন। সে মতলব দক্ষিন উপজেলার পাইল পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়াজীর ছেলে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল থাকা আরহী মো.নেছার (১৬) নামের অপর এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে নরসিংদীর ইটা খোলা নামক স্থানে ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে মতলব উত্তর উপজেলার আরো দুই জন নিহত হন এবং ৩ জন গুরতর আহত হয়েছে। নিহতরা হলো উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সীরকান্দি গ্রামের মৃত কাসেম প্রধানের ছেলে এবায়দুল হক প্রধান (৫২) এবং তার ছেলে মোস্তকিম (১৮)। গুরতর আহত হয়েছে ওবায়দুল হক প্রধানের স্ত্রী মুক্তা বেগম ( ৪৩) তার আরেক ছেলে আশ্রাফুল (১৫) এবং মেয়ে এলমা (১০)।
ওবায়দুল হক প্রধানের পরিবার জানায়, ওবায়দুল হক, তার স্ত্রী মুক্তা বেগম, ছেলে মোস্তকিম, আশরাফুল ও এলমা সবাই সিলেট গিয়েছিল। সেখানে কাজ শেষে ফেরার পথে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে আসার পথে রাত প্রায় আড়াইটার সময় নরসিংদীর ইটাখোলা নামক স্থানে এলে ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওবায়দুল হক ও তার ছেলে মোস্তাকিম নিহত হয়। গুরতর আহত মুক্তা বেগম, ছেলে আশরাফুল ও মেয়ে এলমাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে মুক্তা বেগমের অবস্থা আসংখ্যাজন রয়েছে। নিহতদের ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে।