পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী তাসফির আহম্মেদ মনা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যায় জড়িত ৯ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসাথে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান মিলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঈশ্বরদীর রূপপুর নতুন পাড়া এলাকার ইউনুস এর ছেলে মো: মানিক, দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মহিদুল হক এর ছেলে ফসিউল আলম অনিক, নতুন রূপপুর এলাকার আতিয়ারের ছেলে চমন, চরসাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার, নতুন রূপপুর এলাকার আজিজের ছেলে রাজিব, চররূপপুর এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, সলিমপুর গ্রামের শাহাজান এর ছেলে অবুঝ, চুররূপপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও লক্ষ্মীকুন্ডা এলাকার মাহফুজুর রহমান ওরফে কালা। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, গত ১৭ জুন ঈশ্বরদী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে এমপি মার্কেটের সামনে ছাত্রলীগ কর্মী মনাকে গুলি করে হত্যা করে দূর্বত্তরা। এ ঘটনায় নিহত মনার মা বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত অনিককে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যে ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া ও পাবনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী জিগাতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। সেখান থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। পুলিশ আরো জানায়, কারখানাটিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করা হতো যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনে ব্যবহার এবং অস্ত্র ব্যবসা করা হতো। পুলিশ জানায়, আসামিরদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। সংবাদ সন্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।