সম্প্রতি দুই নেতা খন্দকার তৈমুর এবং শমশের মবিন তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত যারা বিএনপি থেকে আলাদা হয়েছেন তাদের বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেউ আলাদা দল গঠন করলে দলের আপত্তি নেই। সোমবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারা দুইজন বর্তমানে আমাদের দলের সদস্য নন। সুতরাং তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এটা সম্পূর্ণই তাদের ব্যাপার। বিএনপি একটা বিশাল প্রবাহমান নদীর মতো। এখানে কত খড়কুটা আসে কত খড়কুটা যায়। কাজেই বিএনপির কিছু যায় আসে না। কেউ আলাদা দল গঠন করলে এতে দলের আপত্তি নেই। দেট ইজ বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে সেটা রাস্তায় বলে দেবে। জনগণের স্বার্থের বাইরে গেলে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। চলমান আন্দোলনে কীভাবে সরকার পতন হবে এ বিষয়ে তরুণদের হতাশ না হওয়ার কথা জানিয়েছেন ফখরুল। বিএনপি দলটি কোনো বাকশাল নয়, এমন মন্তব্য করে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপির সবাইকে স্বাধীনতা দেয়। যে যার ইচ্ছেমতো রাজনীতি করতে পারে। বিএনপি করতে চায় করবে, এর নতুন দল গঠন করতে চায় করবে। আমরা বাকশাল নই যে সারা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জোর করে বলবো তোমাদের একটাই দল করতে হবে, বিএনপি করতে হবে। সে রাজনীতি বিএনপি করে না। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে তিনশ আসনের সংসদে যোগ দিয়েছেন। তিনশ আসনের মধ্যে একজন যুক্তি হয়েছেন দেখে কী বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন এসেছে? এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি যিনি ভূমিকা রেখেছেন, তিনি বেগম খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে আপনারা খবর পেয়েছেন তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি ছিলেন। তবে আজ (সোমবার) কিছুটা ভালো আছেন গতকালের (গত রোববার) তুলনায়। তবে মেডিকেল বোর্ড বলছে, তার চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্সড হাসপাতালের প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে এমন হাসপাতাল নেই। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে হলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা বার বার সরকারকে বলছি সরকার যেন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। চিকিৎসার অভাবে বেগম জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।