চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে অবৈধ সোঁতিবাঁধে মৎস্য নিধনের উৎসব শুরু হয়েছে। চায়না দুয়ারি জালের পাশাপাশি শুরু হয়েছে সোঁতিবাঁধে মাছ ধরা। এলাকার প্রভাবশালী রাজিৈতক নেতা কিংবা মৌসুমী মৎস্য শিকারাীরা শুরু করেছে এই অপতৎপরতা। চাটমোহরের বিভিন্ন নদী ও বিলের মুখে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ সোঁতিবাঁধ। উপজেলার হান্ডিয়াল,নিমাইচড়া,ছাইকোলা,পাশর্^ডাঙ্গা,ডিবিগ্রাম ও বিলচলন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অন্ততঃ ১০টি অবৈধ সোঁতিবাঁধ দিয়ে মাছ নিধন চলছে। উপজেলার হান্ডিয়ালের কাটা গাঙ,ডেফলচড়া.হান্ডিয়াল মুনিয়াদীঘি কৃষি কলেজ এলাকা,ছাইকোলা,ডিকশি বিল,চিকনাই নদীসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এসব সোঁতিবাঁধ দেখা গেছে। হান্ডিয়াল এলাকায় জনৈক সাইদুল ইসলাম,আমিনুলসহ কয়েকজন সোঁতিবাঁধ স্থাপন করে মৎস্য নিধন করছে। নিমাইচড়া ইউনিয়নের গুমানী নদীতে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠণের কয়েকজন নেতা সোঁতিবাঁধে মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে এসকল সোঁতিবাঁধে। স্থানীয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা প্রশাসন সোঁতিবাঁধ উচ্ছেদে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। এলাকাবাসী দ্রুত সোঁতিবাঁধ অপসারণ বা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন জানান,বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানান। তিনি বললে আমি ব্যবস্থা নেবো। তবে অবৈধ সোঁতিবাঁধের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।