যশোরের ঝিকরগাছা রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজে হিমাগার রাখা আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এমনটাই জানালেন রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার কাজী সাজেদুর রহমান শামীম। বিক্রি বন্ধ রাখার পর বুধবার বিকেল থেকে আলু ব্যবসায়ীরা কিছু আলু বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। ঝিকরগাছা বাজারে ৪২ থেকে ৪৬ টাকায় এখনো আলু বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জনবলের অভাবে ভোক্তা অধিকার আইনে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় কচ্ছপ গতিতে। এর ফলে জনগণ সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু কিনতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বুধবার বিকেলে সরেজমিন রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজে গিয়ে কথা হয় কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার কাজী সাজিদুর রহমান শামীমের সাথে। তিনি জানান, কিছুদিন আগে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আলু ব্যবসায়ীদের কথা হয়েছে। সেখানে কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু গুলো মজুদদারদের কাছে ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদেরকে ৩০-৩১ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে দিলে আমরা কিছুটা মুনাফা পাব। সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা আলু বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করে মজুদদারদের কাছে আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে বুধবার বেশ কিছু আলু ব্যবসায়ীরা বাজারে আলু বিক্রির জন্য কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করেছেন। এ ব্যাপারে কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন জানান, আমরা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাদের নিকট দাবি জানিয়েছিলাম ৩০-৩১ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে। কিন্তু তারা আমাদের দাবি না মানায় মামলা খাওয়ার ভয়ে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছি। তবে স্টোরেজ থেকে বাইরে রাখা আলু গুলো বিক্রি করছি। বুধবার দুপুরে আলু ক্রেতা দীপক কুমার ঘোষের সাথে কথা হয় - তিনি জানান ৫০০ গ্রাম আলু কিনেছি ২৩ টাকা দিয়ে। অপর আলু ক্রেতা ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি কেজি আলু ৪২ টাকায় কিনেছি। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং জোরদার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ক্রেতাগণ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান - আমরা ইতিমধ্যেই রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজের আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। মহাজন পর্যায়ে ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হবে। যা বাজারে ৩৫ - ৩৬ টাকা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ক্রেতা পর্যায়ে বিক্রি করবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসমিন জানান, আমাদের অফিসের জনবল সংখ্যা ২/৩ জন। জনবল সংকটের কারণে দ্রুততার সাথে বাজার মনিটরিং করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা সাধ্য অনুযায়ী মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ঝিকরগাছা রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরেজে ৮৪ হাজার বস্তা আলু মজুদ রয়েছে।