কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের ১,৫০১ টি অবৈধ জন্মনিবন্ধন পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিকলী উপজেলার শিংপুর ইউনিয়নে ২১৪ টি, গুরুই ইউনিয়নে ২৫৩টি, জারইতলা ইউনিয়নে ৫৪৮ টি ও ছাতিরচর ইউনিয়নে ৪৮৬টি নিবন্ধন রয়েছে। এই ঘটনায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: আবুল কালাম আজাদ নিকলীর চার ইউনিয়নের ৯জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন। জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ৯টি শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে দ্বেব চরণের ভিত্তিতে কথিত নিবন্ধনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা মনগড়া। উল্লেখ করা হয়েছে অবৈধ জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি হওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বহিরাগত ব্যক্তিদের জন্মসনদ গ্রহণের আশঙ্কা সৃষ্টিসহ অযাচিত জন্মসনদ তৈরির ফলে ডাটাবেইসের শুদ্ধতা লঙ্ঘিত হয়েছে। শোকজ নোটিশ পেয়েছেন, গুরুই ইউপি চেয়ারম্যান মো: তোতা মিয়া, সচিব মো: আল- আমিন, ও হিসাব সহকারী রাফসান জানি, শিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, সচিব মো: আসাদুজ্জামান, জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদরে চেয়ারম্যান আজমল হোসেন আফরোজ, সচিব মো: নুরুল ইসলাম, ছাতিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো: শামসুজ্জামান চৌধুরী ও সচিব মো: বজলু রশিদ ভূইয়া শোকজ নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি শিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জেলা প্রশাসকের শোকজ নোটিশের ৯ জনের উদ্দেশ্যে বলা হয় অননুমোদিত ব্যক্তির সঙ্গে আইডি পাসওয়ার্ড শেয়ার করার দায়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) চাকরির বিধি মালা ২০১১- এর ৩৪ (ক), (খ), (ঘ) ও (ঙ) - এর বিধি মোতাবেক কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ জন্মনিবন্ধনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর নিকলী উপজেলা প্রশাসক ৪ ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) চার জন উদ্যোক্তাকে অব্যাহতি দেয়। বেশিরভাগ জন্মনিবন্ধন সনদ বহিরাগতদের বলে প্রতিয়মান হয়েছে। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: সাকিলা পারভীন বলেন, চার ইউনিয়নের নিবন্ধনের অমিল হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাচাই-বাছাই করে সব জন্মনিবন্ধন বাতিল করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।