এমনিতেই রাজশাহী ভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র একেবারেই কম। এরমধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) অধীনে পরিচালিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য বিশ্বমহামারি করোনাকালীন থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে নগরবাসী তাদের ছেলেমেয়েসহ ভ্রমণ পিপাসুরা আনন্দ উল্লাস করতে পারতো না। অবশেষে কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সংস্কার কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে নগরবাসীসহ ভ্রমণ করতে আসা নাগরিকরাও বেশ আনন্দিত হয়েছেন। এর আগে গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় ২৫টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়ার প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঘুরতে আসা রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর ছোটবট তলা মহল্লার বাসিন্দা প্রভাষক আবদুল আওয়াল বলেন, সংস্কার করার পর নান্দনিক পার্কটি দেখে খুবই ভাল লাগছে। আগের থেকে অভূত উন্নয়ন সাধন হয়েছে। যা চোখে দেখার মতো। গোরহাঙ্গা এলাকার পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা নাইম শেখ বলেন, বর্তমান পরিবেশ কেউ না দেখে শুধু শুনে বুঝতেই পারবেনা ভেতরের উন্নয়ন চিত্র। তবে এই পরিবেশ আগামীতে যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসিক সূত্রে জানা যায়, উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য প্রায় ২৪কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের মধ্যে থাকা অভ্যন্তরীণ ওয়াকওয়ে ও রাস্তা নির্মাণ, ফেরিজহুইল সংস্কার, পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্য্যবর্ধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হরি, ঘড়িয়াল ও পাখির খাঁচা সংস্কার, বাউন্ডারি ওয়াল পুনঃনির্মাণ, নতুন তিনটি গেট নির্মাণ, অরণ্য রির্সোট নির্মাণ এবং ফুডকোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে।