লালমনিরহাটের আদিতমারীর তিনটি ইউনিয়নে বেসরকারি জননি প্রকল্পের আওতায় তিন মিডওয়াইফ (সেবিকা) নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাবে। কোরিয়ান সংস্থা কইকার অর্থায়নে ও সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সহযোগিতায় আরডিআরএস প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদিতমারী উপজেলা হলরুমে নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে রংপুর বিভাগে জননী প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে মতবিনিময় করা হয়। কর্মশালায় জানানো হয়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার বেশি। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও অধিক অনুন্নত জনগোষ্ঠীর মানুষ সচেতনতার অভাবে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের পরিচর্যায় উদাসীন। তাই এসব এলাকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (এফডাব্লুভি) নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করতে জননী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে এনজিও আরডিআরএস। প্রথম পর্যায়ে এ উপজেলার মহিষখোচা, সাপ্টিবাড়ি ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। প্রজেক্টেত আওতায় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা করবে একজন করে মিডওয়াইফ। সেখানে ২৪ ঘণ্টা মা ও শিশুর পরিচর্যায় সেবা ও পরামর্শ দেবেন প্রজেক্টের কর্মীরা। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশনাও দেবেন প্রজেক্টের কর্মীরা। তারা মায়েদের পরামর্শসহ স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা করবেন। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন সেবার চাপও কমে আসবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিআর সারোয়ারের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক হারুন আর রশিদ, মোহাম্মদ ফরাজদুক ভূঁইয়া, প্রকল্প সমন্বয়কারী এসএমএনএইচএসআর(জননী) প্রজেক্ট রংপুর, মোঃ মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া জেলা সমন্বয়কারী জননী, লালমনিরহাট, রাসেল আহমেদ মনিটরিং অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন, মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম অফিসার, কমিউনিটি মবি লাইজেশন জননী প্রজেক্ট আদিতমারী, মরিয়ম সুলতানা অফিসার বিল্ডিং, জননী প্রজেক্ট আদিতমারী প্রমুখ।