রাজবাড়ীতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে সরকার নির্ধারন করা মুল্যের মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও ডিম। তবে এখনও সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বাজারে নিত্য প্রয়েজনীয় দ্রব্যের দাম বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার রাজবাড়ী শহরের বড় বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে রাজবাড়ীর বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, উস্তে ৬০, কাঁচা মরিচ ১২০, টমেচো ১০০, গাজার দেড়শ, বেগুন বেগুন ৪০, ঝিঙ্গে ৪০, ধুন্দুল ২৫, পেপে ৩০, বাধা কপি ৫০, ফুল কপি ৮০, পেয়াজ ৬৫ থেকে ৭০, পটল ৩০, মুলা ৪০, শষা ৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে লেয়ার মুরগির লাল ডিম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, সোনালি মুরগির সাদা ডিম ৬০ টাকা ও হাসের ডিম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। কে এম নাজমুল হক বলেন, দ্রব্যমূল্যের দামে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকার আলুর দাম নির্ধারন করেছে ৩৬ টাকা, কিন্তু বাজারে কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া সবজির দামও বেশি। আর মাছ-মাংসের তো আকাশ চুম্বি দাম। মোকলেছুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, আজ ৭০ টাকা কেজিতে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন দাম বেশির কারণে কম পেঁয়াজ কিনেছেন। দাম সর্ব নিম্ন ৫০ টাকার মধ্যে হলে ভাল হয়। এ ছাড়া বাজার অনুপাতে অন্যান্য কিছুকিছু সবজির দাম বেশি। সব মিলিয়ে দাম তাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে বাজার। ছাত্রবাসের এক শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান নাঈম বলেন, আগে তারা ম্যাসের তিন দিনের বাজার করতে লাগতো ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা, এখন সেখানে লাগে ৪ থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা। সব কিছুর দাম বেশি। যার কারণে তাদের খরচ মেটাতে কষ্ট হচ্ছে। ডিম ক্রেতা নাঈমা ইসলাম বলেন, ডিমের দাম ৪০ টাকার নিচে আসলে ভাল হতো। কারণ তার প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক ট্রে (৩০ পিস) ডিম লাগে। ডিম ব্যবসায়ী গাজী মোক্তার বলেন, রাজবাড়ীর ডিমের বাজার কখনও অস্থীতিশীল হয় নাই। এখন এক ট্রে ডিমের দাম ৩৪০ থেকে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারন করা মূল্যের মধ্যে তারা ডিম বিক্রি করছেন। চাহিদা অনুযায়ী যোগানও ভাল আছে। তবে অন্যান্য ডিমের যোগান কমের কারণে দাম একটু বেশি। সবজি ব্যবসায়ী তসলিম বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে শুধু আলুর দাম ৫ টাকা কমে ৪০টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া অন্য সব সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আর একটু দাম কমলে সাধারন মানুষের জন্য ভাল হতো। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, সরকারের বেধে দেওয়া দামেই তারা পেয়াজ বিক্রি করছেন। তবে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। ৭০ টাকার বেশি বিক্রি করছেন না।