ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে আগমুন্দিয়া গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি দীর্ঘ বছরের বছরের, কিন্তু আদ্যবধি সেটি পাকা হয়নি। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। যশোর ঝিনাইদহ মহাসড়কের আগমুন্দিয়া নামক স্থান থেকে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি শুর হয়ে গ্রামের শেষ পর্যন্ত গেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, দাখিল মাদ্রাসাসহ শিক্ষার্থীদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজি, অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আগমুন্দিয়া গ্রামের যশোর মহাসড়ক থেকে স্কুলের পেছন দিয়ে গ্রামের মধ্যদিয়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক। এ গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়ি হতে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ড পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। দেখলে মনে হবে এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে সামান্য বৃষ্টিতে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোন অবস্থা থাকে না। কাঁচা এই রাস্তাটির কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, অসুস্থ রোগী ও বিভিন্ন ব্যবসায়িরা। এই রাস্তাটি গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচল ও মাঠে যাওয়ার রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে পরিবারের বসাবাস এবং পরিবার গুলোর সকলেই এই রাস্তাটি ব্যবহার করেই গ্রামের মানুষ মহাসড়কে চলাচলে প্রধান রাস্তা। আগমুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানির জন্য চলাচল করা এবং মাঠের ফসল উঠানো সম্ভব হয় না।শফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তাটি পিচ অথবা ম্যাকাডম হলে গ্রামবাসি দূভোগের কবল থেকে রক্ষা পেত। রায়গ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল গনি জনান, আমার ওয়ার্ডে এ রাস্তাটি কৃষি কাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মাঠের ফসল এই রাস্তা দিয়েই গ্রামবাসি সারা বছর ঘরে তোলে। অনেকদিন ধরে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। আমি ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ও সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এমপিকে রাস্তাটির ব্যাপারে জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য। এ রাস্তার ব্যাপারে রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বলেন, রাস্তাটি কাঁচা রয়েছে, গ্রামবাসির অসুবিধার কথা চিস্তা করে রাস্তাটি পাকা করনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।