বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশে ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। একইভাবে শেখ হাসিনা জীবিত ছিলেন বলেই দেশ আজ ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত। তিনি বেঁচে না থাকলে আজকে যে আনন্দমুখর পরিবেশে নৌকা বাইচ শুরু হলো তা থাকত না। তিনি সোনার বাংলা বিনির্মানের পথ প্রশস্ত করেছেন। তিনি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মহাসড়কে নিয়ে এসেছেন।
জাতির পিতা তাঁর ৫৫ বছরের জীবনের ১৪ বছর কারাগারের অন্তরালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে গিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে ধীরে ধীরে তা আবার জাগ্রত করেছেন।
সারা বিশ্বে যেখানেই নির্যাতন হোক তার বিরুদ্ধে কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আপামর জনতার নেত্রী। মহান এই নেত্রীর জন্মদিনকে সামনে রেখে আমরা প্রতি বছর কৃষক বিনোদন ও নৌকা বাইচের আয়োজন করে থাকি। নৌকা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, কৃষক, যুবক, মাঝি-মাল্লা ও উন্নয়নের প্রতীক।
শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়ায় ইছামতি নদীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সপ্তাহব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সাঁথিয়ার পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক মুঃ আসাদুজ্জামান এবং পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আবদুর রহিম পাকন,বেড়া পৌর মেয়র এস. এম. আসিফ শামস রঞ্জন, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন, সাঁথিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাসান আলী খানৎ, সাঁথিয়া পৌরসভার কাউন্সিলরসহ সাঁথিয়া-বেড়ার স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।