চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে রুখে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান। গত শুক্রবার উপজেলার ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম মেখলস্থ তালুকদার বাড়ির মৃত জালাল উদ্দীনের মেয়ে হাটহাজারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এ- কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্রী আরিফা আকতারের সাথে ৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ মুহরীহাট এলাকার মফিজের পুত্র হাবিবের বিয়ের কথা পাকা হয়। পরে শুক্রবার বাদে আছর পৌরসভার শেরে বাংলা (রঃ) মাজার মসজিদে আকদ্ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য্য করে উভয় পক্ষ। সে মোতাবেক সকল আয়োজন করছিলো দুই পরিবার। বাল্য বিয়ের বিষয়টি গোপন সূত্রে জানতে পেরে আকদ্ অনুষ্ঠানের প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো.সালাউদ্দিন চৌধুরী কে সাথে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে উপস্থিত হন। এ সময় ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে তার অবিভাবককে সতর্ক করে আসেন। ফলে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পায় ছাত্রীটি। ঘধটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, "খবর পেয়ে ইউএনও মহোদয় আমাকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছেন এবং তার অবিভাবককে মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ার আগে বিয়ে না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, "বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কোনো আপোশ নেই।" ভবিষ্যতে এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।