নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ছোট পৌরসভা শহর। তবে এটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। ১৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা গঠিত। লোক সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। শহরবাসির দীর্ঘদিনের দাবি শহরের রাস্তাগুলো সংস্কারের। সরকারী কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মাস্টার ড্রেন ও অন্যান্য ড্রেন নির্মাণ করা হয়। যাতে করে শহরের পানি সহজে নিস্কাশন করা যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন এ দাবি করে আসলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ড্রেনগুলো নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে পানি বন্দি হয়ে পড়ে শহরের মানুষ। এবার বর্ষাকালে তেমন একটা আকাশের পানি মেলেনি। ফলে শহর পড়েনি জলাবদ্ধতা কবলে। তবে এখন শরৎকাল চলছে। আর শরতে যেন দেখা দিয়েছে প্রবল বন্যা। ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে মুষলধারে হচ্ছে বৃষ্ঠিপাত। লাগাতার বৃষ্টির কারণে সৈয়দপুর শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডাঃ জিকরুল হক, শহীদ ডাঃ শামসুল হক, পাঁচমাথা মোড়, জহুরুল হক সড়ক এবং শেরে বাংলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তায় হাঁটু পানি। কোন কোন ব্যবসায়ির প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে। শহরের মহল্লাগুলোর রাস্তা তলিয়ে যায় পানিতে। বসবাসের ঘরে প্রবেশ করে পানি। বিশেষ করে শহরের বাঁশবাড়ী,মিস্ত্রীপাড়া,মুন্সিপাড়া মহল্লার বেহাল অবস্থা। পানি নিস্কাশনের পথগুলো পরিস্কারের বন্ধ থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি। শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের বাসিন্দা নিজু আগরওয়ালা জানান,তার বসবাসের ঘরে হাৃটু পানি। বাসার সামনের রাস্তা যেন নালায় পরিনত হয়েছে। শহরের ভেতর যেন থই থই পানি। কাউন্সিলররা ফোন ধরেন না। পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী পানি নিস্কাশনের আশ্বাস দিলেও কাজ হয় না কোন। পৌরকর্তৃপক্ষ জানান,ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। কিন্তু শহরবাসি এবং কতিপয় ব্যবসায়ি ড্রেনে ময়লা ফেলে, কোন কোন ব্যবসায়ি ও বাসার মালিক রাতের আঁধারে ড্রেন বন্ধ করে দেয়। ফলে সাময়িক সময় শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, পৌরসভা কোন কাজ ভালভাবে করে না। শহরের কোন রাস্তাই ঠিক নেই। ড্রেনগুলো পরিচ্ছন্ন থাকলে আজ শহরবাসি পানিবন্দী হত না। তিনি দ্রুত সময়ে শহরের রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার হলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হত না শহরবাসীকে। পৌর মেয়রের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।