আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার হোসেন্দী বাজার খেলার মাঠে এক মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তালেবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। ছাত্রলীগ নেতা মুহিবুল্লাহ পিয়াসের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দীন মোহাম্মদ গ্রুপের এমডি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার আসিফ মো. নূর, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল হক তরুন, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি মোমতাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ দীন আই চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল হক টিটু প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১৬৩, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। দলীয় মনোনয়ন পেতে আমি মনোনয়ন চাইবো। আল্লাহর রহমতে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে যদি আপনাদের মহামূল্যবান ভোটের রায়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয় তাহলে আমি আপনাদের সকলের সাথে পরামর্শ করে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আত্মনিয়োগ করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গঠনই হবে, আমার পরিকল্পনার মূল ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মানের লক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক ও মানবিক বাংলাদেশ সৃষ্টিতে জাতির পিতার গর্বিত কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সামান্য কর্মী হিসাবে অবদান রাখাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম কাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার সকল পোষ্ট অফিসকে আমি ই-সেন্টারে রুপান্তর করবো। ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে উন্নত ইন্টারনেট সেবা গ্রামীন জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ ছাড়া তিনি নির্বাচনী এলাকার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানান।