শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী আন্ধারুপাড়া খলচান্দা গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোচ আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে নুর আলী (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার খলচান্দা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক নুর আলী পাশ্ববর্তী বুরুঙ্গা গ্রামের আবদুর রশীদের ছেলে।
সুত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামের ৫ জন কোচ শিক্ষার্থী মিলে পাহাড়ি পথে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাস্তার কিছু দূর আসলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মেঘলা আকাশে সবার ছাতা না থাকায় আধা ভেজা অবস্থায় সবাই আবার বাড়ির দিকে ফেরত যেতে থাকে। এ সময় পথিমধ্যে খলচান্দা গ্রামের হোসেন আলীর বাড়ির কাছে গজারী বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নুর আলী তাদের পথরোধ করে। ওই শিক্ষার্থীদের একজনের হাতে ধরে ও মুখ চেপে পাহাড়ের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। এতে সহপাঠীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করে ও ডাকচিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। এ সময় সুযোগ বুঝে বাড়িতে পালিয়ে যায় নুর আলী। স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের কাছে অভিযুক্তের চেহারার বর্ণনা শুনে নুর আলীকে তার বাড়ি থেকে ডেকে শিক্ষার্থীদের সামনে আনলে তারা অভিযুক্ত নুর আলীকে শনাক্ত করে। পরে গ্রামবাসীরা মিলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ও থানা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় জনতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গ্রামবাসীরা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে নুর আলী নতুন বিয়ে করেছে। এ ছাড়া তার আগের আরেকজন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে আটক অভিযুক্ত নুর আলীকে থানায় আনা হয়েছে। অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলা হয়েছে।