জামালপুরের মেলান্দহে স্কুল ছাত্রী রিথী আক্তার (১৬) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন এবং ডিসির অফিস ঘেরাও করেছে সহপাঠি এবং এলাকাবাসি। রোববার দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার বেতমারী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসির অফিস ঘেরাও করে। এ সময় বিক্ষোভকারিরা ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। একই সময়ে নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী করে তোলে।
আধাঘন্টা পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিয়াসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ন্যায়বিচারের আশ^াস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, নিহত রিথী আক্তার চরপলিশা জাহানারা লতিফ হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বেতমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। একই স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী গোলাম রাব্বির বাড়ি স্কুলের পাশেই। সে আল মামুনের ছেলে। চার মাস আগে ভালোবেসে রিথি আক্তারকে বিয়ে করে গোলাম রাব্বি। রাব্বির স্বজনরা এই বিয়ে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে রিথি আক্তারের পিত্রালয় থেকে ডেকে আনে। এক ঘন্টা পরেই আল মামুনের ঘর থেকে রিথি আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গোলাম রাব্বীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের নামে মেলান্দহ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান-আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করা হচ্ছে। যে কোন সময় গ্রেপ্তার হবে আশা করছি।