সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চোরাইপথে আসা ভারতীয় ৩৬ গরুসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি একটি নৌকা।
আটককৃতরা হলেন,উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মনাফের পুত্র মোঃ জামাল মিয়া উরুফে জালাল (৫০),মৃত মখলিছ আলীর পুত্র মোঃ আলা উদ্দিন আলাল (৩০),-মোঃ ছোয়াব আলীর পুত্র বাবুল হোসেন (২৮),ভবানীপুর (জাঙ্গালা পাড়া)গ্রামের সৈরত আলীর পুত্র আবদুল বাছির মিয়া (৩৮)কে আটক করেন। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৪টি বিভিন্ন রং ও সাইজের ভারতীয় গরু উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর টিলাগাঁও গ্রামের নৌকাঘাটে অভিযান পরিচালনা করে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার চানপুর (আবরহাটি) গ্রামের মোঃ আমীর হোসেনের পুত্র মোঃ রাদেন মিয়া (২২), উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের আন্ধাইরগাঁও গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের পুত্র আবদুল কাদির (২৭),বাঘাহানা গ্রামের মোঃ করিম খানের পুত্র বাচ্চু খান (৪৫), মৃত লোকমান শেখের পুত্র মোঃ আফসর উদ্দিন (৫০)কে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামিদের হেফাজতে থাকা ২২টি ভারতীয় গরু এবং গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি নৌকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সর্বমোট ৩৬টি ভারতীয় গরু ও ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি নৌকাসহ ৮ জন গরু চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে যানাযায়, শনিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ছাতক সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বদরুল হাসানের নেতৃত্বে এসআই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,এসআই মোহাম্মদ স¤্রাজ মিয়া ও এসআই মুহাম্মদ আসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বোগলাবাজার টু দোয়ারাবাজার সড়কের
গিরিশনগর মসজিদের সামনে ও টিলাগাওঁ গ্রামের নৌকা ঘাটে পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং কোনো ধরণের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সবকিছু পুলিশ হেফাজতে নিয়ে দোয়ারাবাজার থানায় পাঠানো হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বদরুল হাসান জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে গরুগুলো আনা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের পর আটক আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটক ৩৬ টি গরুর বাজার মূল্য প্রায় ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।