বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অসংখ্য অটোরিকশা ও ভ্যান। এগুলোর পাশ ঘেঁষে এঁকেবেঁকে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ঢুকতে হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রী ও চালকদের আচরণে তারা অস্বস্তিতে পড়ছে। বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময়ও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের চিত্র এটি।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর শহরের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ১৯৪৩ সালে স্থাপিত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন। তার পাশেই রয়েছে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সে বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৪২ সালে। এই বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। দুই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটিই গেট রয়েছে। প্রতিদিন একই গেট দিয়ে শত শত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ ও বের হতে হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ডে অসংখ্য অটোরিক্সা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যানজটের কবলে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের গেট ঘেঁষে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান ঘর।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাবাসচ্ছুম খাতুন, নিরব সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অসংখ্য রিক্সা-ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকার ফলে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ঢুকতে ও বের হতে আমাদের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমরা বিদ্যালয়ের স্যারদের জানিয়েছি।
সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলা হয়েছে। নিজেরাও এসব যানবাহন সরানোর চেষ্টা করে কাজ হয়নি। এ সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয় রয়েছে। দুটি বিদ্যালয়ের একটি মাত্র গেট। এই গেট ঘেঁষে পানি নিস্কাশের ড্রেনের ওপর অবৈধভাবে এক ব্যক্তি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। আর গেটের সামনেই যানবাহনের স্ট্যান্ড। সব মিলিয়ে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, দুটি বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদের জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় তারা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। যার ফলে জায়গা সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের সামনেই অটোরিক্সা, ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্ধারিত স্ট্যান্ড করার জন্য চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ন কবির বলেন, দুটি বিদ্যালয়ের সামনে রিক্সা-ভ্যানের ষ্ট্যান্ড রয়েছে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে শুনেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ বিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।