স্কুল চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে ফেসবুকে ব্যস্ত থাকার প্রতিবাদ করায় প্রধানশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তিন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিন শিক্ষককের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নগরীর কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, মারধরের শিকার বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, একই বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষার শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক মোঃ মোখলেচুর রহমান ও ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সাইফুল্লাহকে। এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রধানশিক্ষক শফিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করে উল্লিখিত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান করান না। তারা ক্লাশে এসে মোবাইল ফোনে ফেসবুক চালাতে ব্যস্ত থাকেন। তখন প্রধানশিক্ষক শিক্ষকমিলনায়তনে গিয়ে দেখেন, ওই তিন শিক্ষকই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফেসবুকে ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় পাঠদানে না গিয়ে এ ধরনের কর্মকা- বন্ধ করার জন্য প্রধানশিক্ষক ওই তিন শিক্ষককে অনুরোধ করেন। এতে সহকারী শিক্ষকরা প্রধানশিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করেন। তখন প্রধানশিক্ষক এ দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণ করায় চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা প্রধানশিক্ষকের মোবাইল ফোন সেট কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও প্রধানশিক্ষককে মারধর করে আহত করা হয়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধানশিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সহকারী শিক্ষকদের মারধরে প্রধানশিক্ষকের কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাউনিয়া থানার ওসি বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী তিন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।