নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারী হাসপাতাল এখন পানিবন্দী। হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে হাসপাতাল গেলে দেখা যায় পানিবন্দী অবস্থা। হাসপাতালের পুরো ক্যাম্পাস এখন হাঁটু পানিতে থই থই করছে। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সৈয়দপুর শহরের সকল রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। শহরের মধ্যে বাসা বাড়ীতে পানি প্রবেশ করে। অনেকের দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে মালামাল। পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ড তলিয়ে যায় পানিতে। বসবাসের ঘরে হাঁটু পানি। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে বাসার পানি বের করতে দেখা গেছে। এখনো শহরের সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল পানিবন্দী। সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট চত্বরে পানি। কলেজ ক্যাম্পাসের রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে শহরের বাঁশবাড়ী এলাকায় অনেক বাসায় পানি। নিয়ামতপুর সরকার পাড়ায় পানিবন্দী অনেক পরিবার। একই অবস্থা বিরাজ করছে হাতিখানা এবং মিস্ত্রীপাড়া। গোলাহাট এলাকার এখনো কোন কোন বাসায় পানি। হাসপাতাল সুত্র জানায়, এ পানি নেমে যেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। কসরণ পুরো শহর পানিতে ভরে ছিল। হাসপাতালের পাশে খড়খড়িয়া নদী উত্তাল হয়েছে পানিতে। ওই পানি না কমা পর্যন্ত বাসা বাড়ীর পানি কিভাবে বের হবে। সৈয়দপুর বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, আমার কলেজ ক্যাম্পাস ভরে গেছে পানিতে। কলেজে যাতায়াতের রাস্তা তলিয়ে গেছে। ওই রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। পৌর কর্তৃপক্ষ নজর দেয়া উচিৎ। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায় স্মরণ কালের বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে। যার মাত্রা ছিল ৪১৫ মিলি মিটার। পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, আমরা মাস্টার ড্রেনগুলো প্রশস্থ করেছি। শহরের মধ্যেকার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। এবার প্রবন বন্যায় সব ড্রেন পানিতে উপচে পড়েছে। তারপরও পানি নিস্কাশনে আমরা কাজ করছি। এদিকে পানি বন্দী পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দিয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান পানিবন্দী পরিবারগুলোর খোঁজ খবর রাখছেন বলে জানান তিনি।