বরগুনার তালতলীতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক এ তদন্ত শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুজাফ্ফর হোসেন। গত আগস্ট মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে উপজেলার ৪১ জন প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
৪১ জন শিক্ষকদের স্বাক্ষরিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০১৯ সালে মনিরুল ইসলাম তালতলী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর পরে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পায়। দায়িত্ব পেয়েই তিনি নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির (স্লিপ) বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করতে অগ্রিম ঘুষ না দিলে তিনি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের কাগজে স্বাক্ষর দেন না। তাকে টাকা না দিলে শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করে। এ ছাড়া শিক্ষকদের বকেয়া বেতন থেকে সিংহভাগ টাকা তাকে দিতে হয়। নগদ অর্থের বিনিময়ে ডেপুটেশন আদেশে বদলির ব্যবস্থা করেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে অর্থ আদায়। এছাড়াও সম্প্রতি শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য বরাদ্দকৃত সব টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়াও কথায় কথায় শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলামকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বক্তব্য দিবো। আপনাদের সাথে কি বলবো, আমি ভাত খাচ্ছি পরে ফোন দিয়েন।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রাজ্জাক বলেন, শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে এসেছি। অভিযোগকারী শিক্ষকদের ডেকে তাদের কথা শুনেছি এবং জবানবন্দি লিখিত আকারে জমা নিয়েছি। অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করবো। পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।