গত ১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুর সদর উপজেলায় জন্ম ও ঢাকায় কাজ করা শিশুশ্রমিক রাব্বিকে আনন্দময় শৈশব ও উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের দায়িত্বগ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান-এঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের নতুন জমিসহ ঘর রাব্বির পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাব্বির লেখাপড়ার খরচ নির্বিঘেœ চালিয়ে নিতে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে খোলা হয়েছে একটি ব্যাংক একাউন্ট। ওই একাউন্টের প্রথম মাসের লভ্যাংশের চেক রাব্বি ও তার মায়ের হাতে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব বশির আহমেদ ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাখাওয়াত জামিল সৈকত। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় ছবি তোলেন।এসময় প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করেন, ভিড়ের মাঝে একটি শিশু দাঁড়িয়ে আছে। শিশুটির নাম রাব্বি। তিনি রাব্বির কাছে যান ও পরম মমতায় তাকে আদর করেন। এ সময় তিনি ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান- সে কী করছে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ছে ? ১১ বছর বয়সী রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে জানায়, সে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছে। ক্যান্টিনে যোগ দেয়ার আগে, শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই। আবার পড়ালেখা শুরু করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি তার শিক্ষা ব্যয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।