রংপুরের পীরগঞ্জে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি করতোয়া নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘর,ক্ষেতের ফসল ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বুধবার চতরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে এরা এখন ঘোড়াঘাট উপজেলার শ্র চন্দ্রপুর গ্রামে ন্যাশনাল ক্যাডেট স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন জানান, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে টুকুরিয়া ও চতরা ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি রাস্তা ও কৃষিজমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। সরেজমিনে বুধবার উপজেলার চতরা ইউনিয়নের পার কুমারপুর,পার কুয়াতপুর,মাঝিপাড়া,মাটিয়ালপাড়া,নামা ঘাষিপুর সোন্দলপুর,গোবিন্দ পাড়া, কুয়াতপুর হামিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধান, উঠতি ফসল ধান,পটল,বেগুন, লাউ শষাসহ সকল সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জমির ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না, এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের এ ধরনের সুযোগ নেই তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে আশপাশের উঁচু স্কুলগুলোতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর আলম গোল্লা জানান,ইতিমধ্যে ২ হাজার পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে মাঝিপাড়ার ৪৫ টি পরিবার,পার কুয়াতপুরের ২০ পরিবারও নামা ঘাষিপুরের ৪০ টি পরিবার ছাড়াও পার কুমারপুরের ১’শ পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকের ঘরের চালায় পানি উঠেছে। এদের জন্য তাৎক্ষনিক কোন সাহায্য না জুটলেও চতরা ইউনিয়ন পরিষদ সামান্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছে। বন্য কবলিত এলাকার মানুষ গৃহপালিত পশুগুলো নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসন জানায়, জেলঅ প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। খবর রেখা পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি।