রাজশাহীর বাগমারায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ। বৃহস্প্রতিবার সকালে তিনি উপজেলার দ্বীপপুর, সোনাডাঙ্গা ও ঝিকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মধ্যে খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ্আবু সুফিয়ান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সালাউদ্দীন আল ওয়াদুদ, কৃষি অফিসার আবদুর রাজ্জাক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ারএনামুল রাজিব আল রানা প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারি বর্ষন ও ভারতের গজালডোবায় গেট খুলে দেওয়ায় উজান বন্যার পানি নওগাঁর আত্রাই নদীন পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজশাহীর বাগমারার ফকিরানী ও বারনই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা গুলো বন্যার পানি ঢোকে পড়েছে।
এদিকে খালবিল গুলোতে বন্যার ঢোকে পড়ায় বিল এলাকার ঘরবাড়ি গুলোর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আকর্ষিক বন্যার কারণে বাগমারার বেশ কিছু এলাকার প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার মৎস্যচাষী ও কৃষকেরা। বিশেষ করে সবজি চাষীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় কৃষকরা ভালোই সবজির দাম পাচ্ছিল। এরি মধ্যে তাদের সেই সবজির ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশার গুঁড়েবালি পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানান, বন্যায় উপজেলায় সব চাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, পাট সবজি ও মৎস্যচাষীরা। বন্যার কারণে বিলের চাষকৃত মাছ গুলো বন্যার পানিতে ভেষে গেছে। বারানই ও ফকিরনী নদীর সংলগ্ন জমি গুলোতে সবজি চাষ হওয়ায় সেখানে বন্যার পানি ঢোকে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়ন ও ঝিকরা ইউনিয়ন মীরপুর, বান্দাইঘাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় পরিদর্শন জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ। বাগমারায় পানি প্রবেশ দ্বার আত্রাই নদীর নন্দনালী বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাপক হারে পানি প্রবেশ বাগমারায় ন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় কৃষি অফিসার ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সহ বেশ কিছু অফিসার নিয়ে ঘটনাস্থলে বস্তা ভরা মাটি, বাঁশ-খাম দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যথাযথ বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষনিক নজরদারি ও সহযোগিতা বাড়াতে সবাই সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান জানান, জেলা প্রশাসক মহদোয় বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত দুইশতাধিক পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাবার বিতরন করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমান এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বাকী ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা সর্ব সময় বন্যা কবলিত এলাকার দিকে নজর রাখছি বলে তিনি জানিয়েছেন।