খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি এক প্রভাবশালী সরকারি রাস্তায় প্রাচীর দিয়ে বিলাসবহুল বহুতল বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ। এতে করে সরকারি রেকর্ডীয় রাস্তা বেদখলসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে ঐ রাস্তা উন্নয়নসহ পানি নিস্কাশনে ড্রেনজার ব্যবস্থা। ঐ এলাকা বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হচ্ছে। এমন অবস্থায় স্থানীয়রা প্রাচীর অপসারনে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকেন নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীর স্বাক্ষরীত সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছখিনা বেগম’র অভিযোগে উল্লেখ, জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন দক্ষিণ বঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়ীত ঐতিহাসিক অঞ্চল। কপিলমুনির আধুনিক রূপকার দানবীর স্বগীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণের জন্য কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজার ও বহুমূখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অগণিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এ উর্বর ভূমিতে অনেক গুনী ও সুধিজনের আবির্ভাব হয়েছে। আবার এ বিপরীতে গুটিকয়েক অশুভ ও সমাজ ক্ষতিকার বহিরাগত এসে মুণি ঋষিদের নিজ হাতে গড়া কপিলমুনির উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মৃত শেখ আলাউদ্দিন গাজীর পুত্র প্রভাবশালী শেখ আনারুল ইসলাম কপিলমুনি অসিম রাহার বাড়ির হতে কপিলমুনি কলেজ মোড় অভিমুখে রাস্থাটির কলেজ মোড় সংলগ্ন সরকারি রাস্তÍার উপর অবৈধভাবে উচ্চ প্রাচীর নিমাণ করায় এলাকার বিশাল অংশ জলাবদ্ধতাসহ জনগণের চলাচলের বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার নাছিরপুর ও কপিলমুনি মৌজার এসএ ২৭ ও ৬৬ খতিয়ানের মালিক চেয়ারম্যান খুলনা ডি. বোর্ড। এ সরকারি রাস্তাটির উপর প্রাচীর দেওয়ায় কপিলমুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এ- কলেজ, কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যাল ও কপিলমুনি কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের বিঘ্নসহ এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিপণনে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকার জনগণসহ স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনা করে উল্লিখিত রাস্তাটি উত্তর প্রান্ত হতে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থ দিয়ে ইটের সোলিং নিমার্ণ করা হয়েছে এবং কর্মসূচীর লোক দিয়ে রাস্তার বাকি অংশ মাটি দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। রাস্তাটি উন্নয়ন কাজ চলাকালিন সময়ে রাস্তার উপর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু তার নির্মিত প্রাচীর তিনি নিজ দায়িত্বে অপসারণ করেন। কিন্তু বহিরাগত শেখ আনারুলকে ইউপি পরিষদবর্গ তার প্রাচীর সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারংবার বলা হলেও অদ্যাবধি তা সরিয়ে নেননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছখিনা বেগম সর্ব সাধারনের পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর প্রাচীর সরানোর বিষয়ে আবেদন দিলে সম্মানিত ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দ্দার ইউপি সদস্য রবিন্দ্রনাথ অধিকারী, মো. রফিকুল ইসলাম ও ইউপি সচিব মো. আ. গণি গাজীকে সরেজমিনে নিরসনসহ প্রাচীর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও অদ্যাবধি প্রাচীর অপসারণ করেনি। অভিযোগে আরো উল্লেখ, ইতোমধ্যে ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে ইটের সোলিং নির্মাণের জন্য এডিপি খাতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাচীর অপসারণে রাস্তাটি ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন করা হলে একদিকে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকায় জনগণের যাতায়াতে সময় ও দুর্ভোগ লাঘব হবে অন্যদিকে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল কপিলমুনি বাজারে আনায়নে সহজতর হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ।