জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হলেন মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সভাপতি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার ২০২২ সালে ১০ মার্চ মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদান রাখেন। তিনি সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে চরাঞ্চলখ্যাত অনুন্নত এই উপজেলার শিক্ষার মানোয়ন্নয়নের পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের মনে আলাদা ভূবন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন। তার এ সাফল্যে মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ সৌজন্য সাক্ষাত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসা, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার এ অর্জনকে মেঘনাবাসীকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, জীবনে কিছুকিছু অর্জন দায়বদ্ধতা, কাজের প্রতি উদ্দীপনা ও স্পৃহা বহুগূণে বাড়িয়ে দেয়। আমি মনে করি সকল ইতিবাচক চর্চার মাধ্যমে যে কোনো নেতিবাচকতা পরিহার করা সম্ভব। মেঘনার মতো একটি অনুন্নত উপজেলায় শিক্ষার হার যেখানে কম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়বিমুখ ছিলো, আইসিটিতে ছিলো অদক্ষ; সেখানে আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি গত দেড় বছর ধরে পরিকল্পনামাফিক কাজ করে যেতে। তারই অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিয়ে আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের দুই দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়েছি। গত ১ জানুয়ারিতে প্রায় ১৪ টির মতো বিদ্যালয়ে নিজে উপস্থিত থেকে বই বিতরণ উৎসবে শামিল হয়েছি। প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা পর্যায়ে এ বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি বিদ্যালয়ে কাবিং চর্চায় উদবুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাব স্কাউট কোর্স করিয়েছি। দৌলত হোসেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার এইচবিবির রাস্তা করে দিয়েছি।