শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ৬৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে ১৪টি ককটেল ও ১টি পেট্রোল বোমা উদ্ধারের দাবী করেছে পুলিশ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রুবেল, মানিককুড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মমিন মেম্বার, মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, গৌরীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. মিজান, আহম¥দনগর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজল ও ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির কর্মী মো. মোস্তফা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও বাজারের কাছে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অন্তত ৬৭ জন নাশকতা সৃষ্টির জন্য মিটিং করছিলো। পরে পুলিশ গিয়ে উল্লিখিত ৬ জনকে আটক করে। এ সময় সেখান থেকে ১৪টি ককটেল ও ১টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রবেল বলেছেন, এখানে সকল নির্যাতনের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আন্দোলনের ভয়ে সরকারকে রক্ষা করতে পুলিশ আবারও গায়েবি মামলা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্ঠির পায়তারা ও নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে তাঁর পুলিশ বাহিনী দিয়ে আন্দোলনরত নেতা-কর্মী এবং বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুরাতন মামলাকে উজ্জীবিত এবং নতুন গায়েবী মামলা দিয়ে আন্দোলন দমাতে এবং আসন্ন নির্বাচনী বৈতরণী পার করার নীল নকশার ষড়যন্ত্রে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এসব বানোয়াট মামলা হতে সরে আসতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তিনি অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলকে এক নম্বর আসামি (হুকুমের আসামি) করে ১৭০ জন নেতাকর্মীর নামে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার নাশকতার মামলা করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। এর মধ্যে ৫০ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। বাকীরা অজ্ঞাত। এ ঘটনায় শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দশ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার কোর্টের মাধ্যমে ওই দশ নেতা-কর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।