রংপুরের পীরগঞ্জে চতরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে শুক্রবার স্পিকারের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী আফিসার ইকবাল হাসান ৬’শ পরিবারের পরিবরাকে প্রত্যেক ১০ কেজি চাল,১ লিটার সয়াবিন তেল ও কেজি মসুরের ডাল বিতরন করেন। এ সময় পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম,চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন তার সাথে ছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে গত বুধবার চতরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বাড়িঘর,ক্ষেতের ফসল ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়া এসব এলাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। বাড়িঘর ছেড়ে এরা এখন ঘোড়াঘাট উপজেলার শ্রী চন্দ্রপুর গ্রামে ন্যাশনাল ক্যাডেট স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন জানান,উপজেলার চতরা ইউনিয়নের পার কুমারপুর,পার কুয়াতপুর,মাঝিপাড়া,মাটিয়ালপাড়া,নামা ঘাষিপুর সোন্দলপুর,গোবিন্দ পাড়া, কুয়াতপুর হামিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধান, উঠতি ফসল ধান,পটল,বেগুন, লাউ শষাসহ সকল সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জমির ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না,এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের এ ধরনের সুযোগ নেই তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে আশপাশের উঁচু স্কুলগুলোতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর আলম গোল্লা জানান,ইতিমধ্যে ২ হাজার পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে মাঝিপাড়ার ৪৫ টি পরিবার,পার কুয়াতপুরের ২০ পরিবারও নামা ঘাষিপুরের ৪০ টি পরিবার ছাড়াও পার কুমারপুরের ১’শ পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকের ঘরের চালায় পানি উঠেছে। এদের জন্য তাৎক্ষনিক কোন সাহায্য না জুটলেও চতরা ইউনিয়ন পরিষদ সামান্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার এদের হাতে প্রথম সরকারি ত্রান পৌছে দেয়া হয়।