প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমীর অডিটরিয়ামে কেকে কাঁটার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসন।
প্রথমত কেক কাঁটার সময়টি সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে থাকলেও একই সময় জেলা আওয়ামীগ কার্যালয়ে দলীয় ভাবে কেক কাঁটার পুর্ব নির্ধারিত সময় থাকায় রাত আটটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০০ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
সাদামাটা কেকটিতে প্রধানমন্ত্রী নামটিও লিখা ছিলোনা। কেকের মধ্যেখানে ইংরেজি বড় অক্ষরে "৭৭" লিখা ছিলো। কেক কাঁটার পুর্ব মুহুর্তে পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিল এবং পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতা আপত্তি জানান। তারা প্রশ্ন করেন নেত্রীর নাম কোথায়। তাৎক্ষনিক ভাবে কেক কোম্পানীর লোক এসে শুভ জন্মদিন এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম লিখে দেয়।
তাতেও ভুল বানান লিখা হয়। "মাননীয়" এর স্থলে "মাননিয়" এবং "প্রধানমন্ত্রীর স্থলে "প্রদ্ধানমন্ত্রী" লিখা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে সমালোচনা হয়। একটি ফেসবুক ষ্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন ঘটনার ব্যখ্যা দিয়ে লিখেছেন, "মাননীয়" শব্দটির বানানের ভুলটা করেছে কেক ডেকরেশনের ছেলেটা। এখানে আয়োজকের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না।
এসময় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর প্যানেল মেয়র তরুন কুমার কর্মকার, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিল এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আবদুস ছালাম কেক সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং কেক না খেয়ে শিল্পকলা একাডেমি থেকে চলে যান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, 'কিছু বিষয় মত প্রকাস করতে পারিনা, কষ্ট বুকে চেপে রাখি। তবে আমরা দলীয় নেতা যারা গিয়েছিলাম সবাই। অনুষ্ঠান স্থল থেকে চলে আসছি।'
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, 'আমি ঐ প্রগ্রামে আমন্ত্রণ পাইনি। তবে কেক যখন কাঁটার প্রস্তুতি নিয়েছে, তখন আমাকে জেলা প্রশাসক কল দিয়ে যেতে বলেছে। দলীয় কার্যালয়ে নোত্রীর জন্মদিনের কেক কেটে আমি তখন বরিশাল যাচ্ছিলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের চায়ের দাওয়াত দেন তার কার্যালয়ে। সেখানে তিনি (ডিসি) ঘটনার ব্যখ্যাদেন। জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, 'কেকটি একেবারে সাদা ছিলো, মাঝখানে "৭৭" লিখা ছিলো। এমনটা কথা ছিলোনা। মাঝ খানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা শব্দটি লিখার কথা ছিলো। ওটা কেক কোম্পানি ভুল করেছে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা লেখা বসিয়েছি। সেটাও ভুল হওয়ায় আবার ঠিক করিয়েছি।'