শৈলকুপা জুড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ চরমে, হাসপাতালে পা রাখার জায়গা নেই। ডেঙ্গু রোগ নিয়ে প্রাথমিক করনীয় সম্পর্কে নেই কোন সচেতনতা মূলক সভা সেমিনার কিংবা স্বাস্থ্য কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ কোন প্রচারণা। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ঘন্টায় ১৬জন ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। এরা হলো জামসেদ পুরের ডলি খাতুন, হিতাম পুরের রুবিয়া খাতুন, ধলহরাচ্দ্র গ্রামের আসাদ, সোন্দাহ গ্রামের নুরজাহান, অচিন্তপুরের ইয়াসমিন, গোবিন্দপুরের দেলোয়ার, ঝাউদিয়ার রাজু, সাধুহাটির আশিক সহ ১৬জন ডেঙ্গু রুগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসা সহ নার্সদের। হাসপাতালের বেডসহ মেঝেতে ভর্তিকৃত রোগীর জন্য চলাচল করতেও দারুণ দৃর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। গত ১মাসে প্রায় ২শতাধিক ডেঙ্গু রুগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন স্যালইনের তীব্র সংকট হাসপাতালে। বাহিরে থেকে বেশি দামে আমাদের স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রুগী ফাইমা বেগম জানান আজ ১০ দিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আউট ডোরে ডাক্তার দেখানোর পর রক্ত পরিক্ষা করে ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় বাড়ি চলে যাচ্ছি। এদিকে স্যালাইন সংকট দেখিয়ে ফার্মেসী মালিকরা দু তিন গুন বেশি মুল্যে রোগীরকাছে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপার হাসপাতালের দায়িত্ব থাকা অফিসার ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা খুব বেশি আমরা নিয়মিত তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি তবে স্যালাইন সংকটের কথা সত্য বলে তিনি জানান, তবে এ সংকট দ্রুতই সমাধান হবে বলেও জানান।