চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৌরসদর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রায় শতাধিক অবৈধ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। মাত্র কয়েকটি দোকানের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও বেশিরভাগ দোকানে সেফটি কোন ব্যাবস্থা নেই এবং বিস্ফোরক ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স ছাড়াই এসব দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। রাস্তার পাশে খোলামেলা গ্যাসের বোতল প্রচণ্ড গরমে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। তাছাড়া দোকানদাররা গ্যাসের বোতল মজুত রাখার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে কিছুই জানেনা। পৌরসদর কলেজ রোড রেলগেট সংলগ্ন বেলাল পোল্ট্রি দোকানে এক পাশে শতাধিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল গুদামজাত করে রেখেছেন অপর পাশে বয়লার মুরগির খামার। এ মুরগির খামারে দিনরাত ২৪ ঘন্টা অনেকগুলো বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলছে। বেলাল হোসেনের মালিকানাধীন বিশাল টিন শেডের এ দোকানে দীর্ঘদিন যাবত গ্যাস সিলিন্ডার ও মুরগি পাইকারি, খুচরা বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বৈদ্যুতিক তারের শর্ট সার্কিট থেকে যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জনবহুল আবাসিক এলাকায় প্রানহানিসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে। বেলাল পোল্ট্রি ফার্মের ভিতরে শতশত এপিজি গ্যাস সিলিন্ডার গুদামজাত করে ব্যাবসা করলেও বিস্ফোরক ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নেই, নেই কোন সেফটি ব্যাবস্থা। দোকানদার বেলাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন তার কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। বেলালকে ফায়ার সার্ভিসের অফিস থেকে ফোন করার পর সে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ করে দোকানের ভেতর থেকে অনেক গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্যাসের সিলিণ্ডারের বোতল বেলাল অন্যত্র সে সরিয়ে ফেলেছে বলে আশেপাশের দোকানদাররা জানান। তারা আরো বলেন, বর্তমানে ও তার দোকানে প্রায় শতাধিক গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলের স্তুপ রয়েছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি আমাকে অভিযোগ করে বলেছেন বেলাল পোল্ট্রি ফার্মে ভিতরে অনেকগুলো বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলছে এবং পাশে গ্যাস সিলিন্ডারের শতাধিক বোতল মজুত করে বিক্রি করছেন এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জনস্বার্থে এ সপ্তাহের মধ্যেই যেসব দোকানে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস মজুত ও বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।