লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাই সাইফুল আলম (৫৫)কে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে দেলোয়ার মৃধাকে প্রধান আসামিসহ ৭ জন অভিযুক্ত থানায় মামলা রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ মিশু আক্তার ও ছুইটি আক্তার নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেন। তারা এজহারভুক বলে দাবী করেছেন পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে,দীর্ঘ দিন ধরে সংসারে গ্লানি টেনে বড় ভাই সাইফুল আলম সন্তানের মতো ছোট ভাই লক্ষ্মীপুরের বামনী ইউনিয়নের দেলোয়ার মৃধাকে মানুষ করলেও জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ীতে থাকা তার বড় ভাইয়ের সাথে কথাবার্তার একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সে। এ সময় উভয়ের মধ্যে পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এর মধ্যে সাইফুল আলমের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে পথেই তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে দেলোয়ার হোসেন মৃধাসহ তার অপর সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী নাছিমা আক্তার জানান, নিহত সাইফুল আলম ঢাকা এলাকার নাম করা ব্যবসায়ী ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের মৃধা বাড়ির বাসিন্দা।জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধা থানায় জিডি করে এসেই বড় ভাই সাইফুল আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। নির্মম মৃত্যুতে প্রতিবেশীরা শোকাহত। বলছেন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ বিচারে ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, নিহতের ছোট ভাইয়ের দাবি, তার ভাতিজা তাকে আঘাত করতে গিয়ে বড় ভাই সাইফুল আলমের মাথায় জখম করে। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়; এতেই মৃত্যু হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী,বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, জানান, ছোট ভাইয়ের হামলায় বড় ভাই নিহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।