আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে দিরাইয়ে মানববন্ধন করেছে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই পিএফজি। সোমবার বিকেলে দিরাই প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি-শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে এই উদ্যোগের সাথে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতাভূক্ত পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ সামিল হয়। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবছরেও মানববন্ধন এর মধ্য দিয়ে দিবসটি দিরাইয়ে উদযাপিত হয়েছে।
দিরাই পিএফজির সমন্বয়কারী দিরাই প্রেসক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সিরাজ উদ দৌল্লা, দিরাই পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর দিরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ চৌধুরী, পিএফজির সদস্য দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলম, দিরাই ইয়থ এ্যাম্বাসেডর দিদার রহমান প্রমূখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনকে গভীর তাৎপর্যবহ বলে আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এই দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা ঐক্য ও শান্তির বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই। একটি অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করলেও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অর্ধশতাব্দীর বরপ্রান্তে এসেও আমরা দেখছি যে, আমাদের সেই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের রাজনীতিতে। বিভিন্নমুখী বিভাজনের ছাপ জাতিগতভাবে একটি বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের বিপরীতে ঠেলে দিচেছ আমাদেরকে। তাই, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মধ্য নিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতির পরিবর্তে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি। পাশাপাশি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক তথা জনগণ কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধি নির্বাচনের।
আসুন, আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসে দাঁড়িয়ে আমরা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা তথা বিশ্বমানবতার শান্তির সপক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই, আহ্বান জানাই অধিকারের প্রশ্নে মানুষকে সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার হওয়ার। কেননা সংগঠিত মানুষের সমন্বিত শক্তি ও কার্যকর উদ্যোগই পারে সমাজ বিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে তরান্বিত করতে। আসুন আমরা সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।