বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে খালে উপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্য দেয়। ঠিকাদার ব্রিজের দু পার্শ্বের রাস্তার কাজ সমাপ্ত না করে চলতি বছর জুন মাসে সকল বিল তুলে নিয়েছে বলে জানাগেছে। এখন ব্রিজটি জনগনের কোনকাজে আসছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গ্রামীণ জনপদের ব্রিজ নির্মাণ, মেরামত ও উন্নয়ন (আইবিআরপি) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সেরনিয়াবাতের বাড়ির সামনে টেমার-সেরাল খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে লাকি এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। লাকি এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করেন গৈলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম চাঁন। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে জন্য ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ না করে ২০২৩ সালের জুন মাসে ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী।
টেমার গ্রামের একাধিক বাসিন্দা নাম না প্রাকাশে অনিচ্চুক তারা বলেন, ব্রিজের কাজ শুরু করে ঠিকাদার কাজ শেষ করলেও ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা নির্মান না করায় কোন কাজে আসছে না এই ব্রিজটি। ব্রিজে ওঠার রাস্তা কাজ না করে ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম চাঁন বিল তুলে নিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, আমরা ঠিকাদারকে জুন মাসে বিল পরিশোধ করে দিয়েছি এটা সত্য কিন্তু ঠিকাদারে জামানান রয়েগেছে। শুকনো মৌসুমে মাটির কাজ করে দিবে ঠিকারদার বলেছে।
এব্যাপারে ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম চাঁন বলেন, আমি বিল নিলেও আমার দশ লাখ টাকা জামানাত রয়েগেছে। উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী স্যার বলেছে পরে কাজ করারজন্য। আমি কিছুদিন পরে রাস্তারকাজ করে দিবো।