চিরিরবন্দরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কতৃক উপজেলা যুবলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর রোববার দুপুর ১ টায় উপজেলা চত্ত্বরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি কমেন্ট এর কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল আলিম সরকার উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ একরামুল হককে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে সাধারণ সম্পাদককে নিবৃর্ত্ত¡ করে ওই যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই নেতা বাড়ি ফেরেন। ঘটনা অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সদস্য নবায়ন বিষয়ে ওই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদির পুর্বে অন্য একজনের স্টাটাস দেয়া পোস্টে যুবলীগ নেতা একরামুল হক মন্তব্য করেন। এরপর ঘটনার দিন উপজেলা পরিষদের গেটে একরামুল হক সাধারণ সম্পাদককে সামনে দেখতে পেয়ে সালাম দিলে, সাধারণ সম্পাদক সালাম নিতে অস্বীকার করেন। তখন যুবলীগ নেতা একরামুল হক একটি বেফাঁস মন্তব্যে সাধারণ সম্পাদককে বলেন, আপনার মাথায় কোন মাল নাই। এতে সাধারণ সম্পাদক ক্ষুদ্ধ হয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাকে ২ টি চড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় স্থানীয়রা এসে উভয়কে সরিয়ে নেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগের ওই নেতা একরামুল হক জানান, ওই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিলে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি থানায় অভিযোগটি পাঠিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল আলিম সরকার বলেন, সে আমাকে জনসম্মুখে অপমানজনিত কথা বলায় রাগ দমন করতে না পেরে মুরব্বী ও চাচা হিসেবে দুটি চড় থাপ্পড় দিয়েছি। এ ঘটনায় কোন সাংবাদিক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশীদ জানান, জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের পাঠানো অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধান অন্তে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।