অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও নেই কোন উন্নয়ন যার কারণে অল্পএকটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় লাঙ্গলবাঁধ বাজারে। ভোগান্তির শিকার হতে হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের। সারকারের প্রতিবছর এই বাজার থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হলে নেই কোন উন্নয়ন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে শৈলকূপা ও শ্রীপুর উপজেলার দুই সীমান্তে গড়াই নদীর তীরে বৃহৎ এই বাজারটি গড়ে উঠেছে। কিন্তু উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি এই বাজার টিতে। বাজারে কাপড় পট্টি, ওষুধ পট্টি, মিষ্টি পট্টিসহ বিভিন্ন গলির রাস্তা গুলো একটু বৃষ্টি হলেই হাটুপানি জমে একাকার হয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমত অবস্থায় বাজারের কিছু ব্যবসায়ীরা নিজস্ব অর্থ দিয়ে তাদের দোকান ঘরের সামনে ইটের সলিং করে দিয়েছে। বৃহৎ এই বাজারটিতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় আল্প বৃষ্টি হলেই হাটুপানি জমে একাকার হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের পৃর্ব পাশ দিয়ে পানি নিস্কাশনের একটা ড্রেন থাকলেও সংষ্কার না করায় তা বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী অমল কুমার কুন্ড জানান, প্রতিবছর যে পরিমান রাজস্ব আয় হয় তার কিছু অংশ দিয়ে বাজারে উন্নয়ন মুলক কাজ করা সম্ভব তবে কেন যে হয় না সেটা আমার বোধগম্য নয়। সারও কীটনাশক ব্যবসায়ী ও বনিক সমিতির সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান বাজারের বনিক সমিতির নির্বাচন না হওয়ায় পকেট কমিটি করার কারণে বাজারটি উন্নয়ন মুলক কাজ থেকে বঞ্চিত। চুরি পট্টির মদিনা ষ্টোরের মালিক আবদুল আলিফ জানান বাজারের ভিতরে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আমরা কয়েক জন ব্যবসায়ী মিলে আমাদের দোকানের সামনে চলাচলের রাস্তাটি পাকা করতে বাধ্য হয়েছি। সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে বাজার সংলগ্ন এখানে রয়েছে একটা ডিগ্রি কলেজ, একটা হাইস্কুল, একটা মাদ্রাসা একটা প্রাইমারী স্কুল, একটা সরকারি শাখা পোস্ট অফিস, ৪টা ব্যাংক সহ অনেক গুলো এনজিও-র শাখা অফিস ও একটা পুলিশ ক্যাম্প। তাছাড়া ও রয়েছে একটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা অফিস। এত কিছু থাকলেও কেন যে বাজারটি উন্নয়ন হয়না সেটাই জনসাধারণের প্রশ্ন। কাঁচাবাজার করতে আসা রহমত আলী জানান, অল্প বৃষ্টি হলে প্রায় হাঁটু পানি জমে যায়। বাজারের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কটির ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি ও কাদায় রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। যার ফলে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের বৃষ্টির কারণে বাজারের মধ্যে চলাফেরা করা এখন দুশাধ্য হয়ে পরেছে। কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ জানান, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এই অংশে পানি জমে যায়। ড্রেন পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় বাজারে মিষ্টি ব্যবসায়ী রমেশ কুমার কুন্ড জানান, ‘ড্রেন না থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধতা মেনে নিয়ে চলতে হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা ভোগান্তি ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’ ক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে বাজারে যেতে হয়। একটা আধুনিক বাণিজ্যিক এলাকায় এমন দৃশ্য বেমানান। জনপ্রতিনিধিরা এই দুর্ভোগ দেখেও দেখেন না। এ ব্যাপারে গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আবদুল হালিম মোল্লা জানান আমি যে পরিমান অর্থ পায় তাদিয়ে বাজারের উন্নয়ন মুলক কাজ করি। তবে সরকারি ভাবে বড় ধরেনর বরাদ্দ পেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।