ধেয়ে আসছে বন্যার পানি। বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনায় বগুড়ার পার্শ্ববর্তি যমুনা ও তিস্তা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রবল বন্যার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার এলঅকায় মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে দ্রুত বাড়ছে। এতে বাংলাদেশের তিস্তার তীরবর্তী উত্তরের ৫ জেলায় প্রবল বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাউবো কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় খোলা হয় কন্ট্রোল রুম। পাউবো সূত্র জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা ও যমুনার পানি বাংলাদেশের অনেক অংশেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তা যমুনার তীরবর্তী সাঘাটা সহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা হতে পারে। যমুনার তীর এলাকা হলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন জানান, বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সবাই সতর্ক আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে সাঘাটা উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী মানুষের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জানিয়েছে প্রশাসন। সাঘাটা উপজেলা প্রশাসনের এক পত্রে জরুরি বার্তাটি জনস্বার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই পত্রে বলা হয়, ভারতের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্ত ও যমুনা নদীর পানি আজ দুপুর থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই তিস্তা ও যমুনার পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হল। মাছ ধরা বা অন্য কোন প্রয়োজনে নিকটবর্তী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইসাহাক আলী বলেন, আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যনুযায়ী বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় নদীর তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য সতর্কবার্তা বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।