জেলার উজিরপুর উপজেলার মুন্ডপাশা গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর হামলাকারী এক নারীকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উজিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল মোঃ রাসেল মিলে উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডপাশা গ্রামের মৃত মান্নান সরদারের ছেলে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি বাদশা সরদারকে তার নিজ ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামির স্ত্রী চম্পা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি বাদশা সরদারকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সুযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি বুধবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি বাদশা সরদারের স্ত্রী চম্পা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্দুরকানী থানার জিআর ২৪/২৩, ধারা ৩৭৯/৪১১ এর ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি বাদশা সরদার। উজিরপুর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাফর আহম্মেদ বলেন, ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের সাথে আসামির স্বজনদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সুযোগে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি পালিয়ে যায়।
মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা ॥ বরিশাল নৌ-বন্দরে মাদকসেবীদের মারধরের শিকার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় নামধারী তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী পরিদর্শক আবদুল মালেক তালুকদার বরিশাল জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের “খ” অঞ্চলের পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছেন। নামধারী আসামিরা হলো-লঞ্চঘাট এলাকার মজিবর রহমান, রাকিব হোসেন ও সাব্বির। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী জনতায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা, সরকারি কাজে বাঁধা করে আক্রমণ করা এবং গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন। সূত্রমতে, গত ২ অক্টোবর নৌ-বন্দরে পরিদর্শক মালেকসহ তিন সেপাই মাদক সেবনরত অবস্থায় একজনকে এমভি পারাবাত-১২ লঞ্চ থেকে আটক করে। এ ঘটনার পর মাদকসেবীরা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দলটির উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশসহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।