বাজার ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নিয়মিত এলপিজির সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর পরও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিইআরসির নির্ধারিত দামের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না রাজধানীসহ দেশের সব জেলায়। গত কয়েক মাস ধরে রান্না ও পরিবহনের এ জ্বালানির দাম টানা বাড়ছে। গ্যাস মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। দেশে চলমান গ্যাস সংকটের কারণে গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। দাম বেশি লাগলেও কিনতে হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশ চড়া দামেও বোতলজাত গ্যাস কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দেশে ২০০৯ সালে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ছিল প্রায় ৬৬ হাজার টনের মতো। বর্তমানে চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। পাইপলাইন গ্যাস-সংযোগ অনেক বছর ধরে বন্ধ থাকায় এ চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যেখানে গত সেপ্টেম্বরে সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। কিন্তু দাম নিয়ে গ্রাহক অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তারা বলছেন গত তিন মাস ধরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে এ গ্যাস। ব্যবসায়ীদের নৈতিক সমস্যার কারণে খুচরা বাজারে মূল্যহার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তাই বিইআরসি এবং জেলা প্রশাসন নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি নিশ্চিত করতে অভিযান চালানো প্রয়োজন। সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দাম নেয়া হলে সে সকল বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের নজরদারী আরও বাড়াতে হবে এবং বোতলজাত গ্যাস চড়া দামে বিক্রি ও মূল্য নিয়ে হয়রানি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সরকারকে এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।