‘কার্ড পাই আর না পাই, তদন্ত চাই- দাবি তুলে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় উপজেলার চুনাব্রিজ সংলগ্ন গোমানতলি সড়কের উপর ঘন্টাব্যাপী ঐ কর্মসুটি পালিত হয়। হতদরিদ্র ভুমিহীন কার্ডবঞ্চিত পরিবার বর্গের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে রেশমা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সেলিনা পারভীন, আরশাফ মোল্যা, মাহানাজ বেগম, আমেনা পারভীন, জহুর আলী, গৌরপদ মন্ডল প্রমুখ। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলামের দাদী সালমা খাতুনসহ দুই চাচা সামছুর ও সেকেন্দার, চাচী চাচাত ভাইসহ স্থানীয় চিংড়ি ঘেরের মালিক সঞ্জয় বরকন্দাজ ও ব্যবসায়ী তুহিনসহ অনেক বিত্তবান সরকারি ভিডব্লিউবি ও রেশনকার্ডের তালিকাভ্ক্তু হয়েছে। আবার জায়গা-জমি চিংড়িঘেরসহ চাষের জমি থাকা সত্ত্বেও সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে অনেকে। অথচ সরকারি খাস জমিসহ রাস্তার পাশে বসবাস করেও তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের ঘর কিংবা ভিডব্লিউবি ও রেশনকার্ডের তালিকাভুক্ত হতে পারেনি।
মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রেশমা খাতুন ও আমেনা পারভীন জানান ত্রুটিপুর্ন তালিকার বিষয়ে তারা ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন। দীর্ঘদিনেও কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ৫ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে কমিটি গঠিত হলেও অদ্যাবধি কোন তদন্ত হয়নি দাবি করে তারা জানান হতদরিদ্র ও দুস্থ হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমুলকভাবে এই ৮৪ পরিবারকে যাবতীয় সরকারি সুবিধা বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
নিজের দাদী, চাচা ও চাচাত ভাইদের নাম তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র হওয়ায় তারা সরকারি সুবিধার আওতায় এসেছেন। এ ছাড়া হতদরিদ্র সেলিনাসহ কয়েকজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি চেয়ারম্যান করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। সব দরিদ্র আপনার পরিবারের মধ্যে পড়েছে কিভাবে জানতে চাইলে রাশিদুল ইসলাম ব্যস্ততার কথা বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শোকর আলী জানান একই পরিবারের একাধিক কার্ড থাকলে তা বাদ দেয়া হয়েছে। তবে ভুলবশত একক কার্ডের সুবিধাভোগী সেলিনাসহ অন্যরা বাদ পড়ে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামনগর উপজেলা মহলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক জানান বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অবিলম্বে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।