খরস্রােতা সন্ধ্যা নদীর উপরে নির্মিত বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পয়সার হাট নামক স্থানে পয়সা সেতু। স্থানীয় প্রভাবশালীরারা সেতুর নিচে পূর্বপারে নদীর বালু ফেলে ভরাট করে দখল করছে। প্রভাবশালীদের জেল-জরিমানা করা হলেও থেমে নেই সন্ধ্যা নদী দখল। নদী দখলের কারণে নদীর নাব্যতা ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও পয়সা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহলিদারকে ম্যানেজ করে এই বালু ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট নামক স্থানে সন্ধ্যা নদীর পয়সা সেতু নিচে নদীর পার দখল করে বালু ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল শিকদারে ছেলে বালু ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন শিকদার ও একই এলাকার জেবারুল খান। বালু ব্যবসায়ী জেবারুল খানকে তিন বছর পূর্বে উপজেলা প্রশাসন জরিমানা করে ছিলেন। তার পরেও জেবারুল খান পয়সারহাট সেতুর পূর্ব পার সন্ধ্যা নদীর দখল করে পুনরায় বালু ভরাট করে ব্যবসা শুরু করেছেন। সেতুর পূর্বপারে উত্তর পাশে আরেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী কাওছার শিকদার নদী দখল করে বালু ভরাট করে আসছে।
স্থানীয় একাধীব্যক্তি নাম না প্রকাশে জানান, তাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার উচ্ছেদ করা হলেও তারা পুনরায় সার্ভেয়ার ও তহলিদারদের ম্যানেজ করে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সন্ধ্যা নদীপাড় বালু ভরাট করে দখল করে নিচ্ছে বালু ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযানে কথা বলে সার্ভেয়ার ও ওই ইউনিয়নের তহশিলদারদের পরিমাপের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সঠিক ভাবে কোন পরিমাপ না করে কাল ক্ষেপন করেন।
পরে ওই ব্যবসায়ীরা তাদের ম্যানেজ করে পুনরায় ভরাট কাজ শুরু করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত দখলকারী কাওছার শিকদার ও জেবারুল সাংবাদিকদের জানায়, আমরা নদীর জায়গা ভরাট করি না। আমাদের জায়গা আমরা বালু দিয়ে ভরাট করছি।
এব্যাপারে সার্ভেয়ার মাসুদ মিয়া ও তহশিলদার রবীন দাস গুপ্ত সাংবাদিকদের জানায়, স্থানীয়রা আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন জানায়, আমার উপস্থীতিতে সার্ভেয়ার মাসুদ মিয়া ও তহশিলদার রবীন দাস গুপ্তকে নিয়ে পরিমাপ করে শিমানা নিরধারন করা হবে। তার পরে দখল উচ্ছেদ করে, দখল দারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবসা নেওয়া হবে।