ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা-হাটফাজিল পুর সড়কের মাঝে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে বগুড়া, কামান্না, আবাইপু মিনগ্রাম পাঁচ পাকিয়া, যুগনী বাগনিসহ ৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের থানা সদরে যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক এটি।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস,ট্রাক, ইজিবাইক, ভ্যানসহ কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে। প্রায়২বছর ধরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস,ট্রাক,নসিমন,ভ্যান, ভটভটি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, হাটগোপালপুর থেকে হাটফাজিলপুর বাজার হয়ে সড়কটি শৈলকূপা থানা সদরে যাওয়ার একটি মাত্র রাস্তা এটি।এই রাস্তার পাশে রয়েছে ৪টা হাটবাজার, ২টি কলেজ ৪টা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭ টা প্রাথমিক বিদ্যালয়।সড়কটির হাটফাজিলপুর বাজারের পাশে মদনপুর নামক স্থানে রাস্তার মাঝে কালভার্ট টি।দীর্ঘ দিন ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিনিয়ত এখানে দৃর্ঘটনা ঘটছে। কালভাটটির মাঝখানে ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত মানুষ। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজিজুর রহমান বলেনদীর্ঘ দিন ,ধরে কালভার্টের ওপরের অংশের ঢালাই অল্প অল্প করে ভেঙে বিশাল আকার ধারণ করেছে। যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া বেশিরভাগ এই রাস্তাটি ভাঙাচোরা রাস্তার মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে হাঁটু পর্যন্ত কাদাপানিতে হয়ে যায় একাকার।। বেহাল রাস্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট নিয়ে দীর্ঘদিন মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ রাস্তা দিয়ে হাটফাজিলপুর, রয়েড়া,বকশিপুরও আবাইপুর বাজারে মালামাল বিক্রি করতে আনে সেই সাথে এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার কালভার্টটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও মেরামত করা হয়নি।
স্থানীয় মো. সাহবে আলী নামের এক ব্যক্তি জানান, কালভার্টটি প্রায় ২৫বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। রাতে অপরিচিত কেউ এদিকে এলে বিপদে পড়তে হয়। এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে রাস্তার উন্নয়নসহ ভাঙা কালভার্ট মেরামতের জন্য প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েছেন তিনি। অটোরিকশা চালক জাহিদ হাসান ও বাস চালক জামিরুল হাসান জানান, কালভার্টসহ রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যে কারণে প্রতিনিয়ত এইসব কারণে দৃর্ঘটনা ঘটেই চলছ। তবে দ্রুত সংষ্কােরের প্রয়োজন তা না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো : হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস উদ্দিন বলেন, ভাঙা কালভার্টের বিষয়টি আমি জেনেছি। এটা সংস্কারের জন্য আমি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে কে জানািয়েছি।। এটি নতুন করে নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাস্তা ও কালভার্ট একসঙ্গে মেরামত করা হলে দুর্ভোগ আর থাকবে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ইট পাথর উঠে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সঠিক কিছু রাস্তা গত বছর মেরামত করা হয়েছে,কবিরপুর থেকে হাটফাজিলপুর বাজার হয়ে মিনগ্রাম পর্যন্ত এর মধ্যে যা বাকি আছে তা এইবার সংষ্কার হবে। সেই সাথে সড়কের মাঝের কালভার্ট টি মেরামত করা হবে।