মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ আরো দুই জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
উদ্ধারকৃত মরদেহ দুটি হলো সাব্বির হোসেন (৪০) ও জান্নাতুল মারওয়া(৮)এর। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাব্বির হোসেন তার ভায়রা ভাই এবং মারওয়া তার বড় ভাই বোরহান উদ্দিনের মেয়ে।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ ইজাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করি আমরা। তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে সকাল আটটার দিকে নদীর মোহনপুর এলাকা থেকে জান্নাতুল মারওয়া(৮) নামের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর সকাল দশটার দিকে নদীর চর ঝাপটা এলাকা থেকে সাব্বির হোসেন (৪০)নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চালকসহ ১২জন আরোহী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের একটি ট্রলার ডুবে যায়। এই ঘটনায় ছয় জন জীবিত উদ্ধার হলেও মা ও দুই মেয়েসহ নিখোঁজ ছিলেন ছয় জন।ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৬জনের সবাই সেনা সদর দপ্তরে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত মফিজুল ইসলামের স্বজন। গতকাল (শনিবার) সকালে মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুমনা আক্তার (২৮)এর মরদহ উদ্ধার করা হয়। আজ (রোববার ) সাব্বির হোসেন(৪০)ও জান্নাতুল মারওয়া (৮)এর লাশ উদ্ধার করা হলো। এই ঘটনা এখনো নিখোঁজ রয়েছে তার দুই মেয়ে সাফা (৬), মাওয়া (৪), ও তার ভায়রা ভাই সাব্বির হোসেন
ছেলে ইমাদ হোসেন(২)।