রাজশাহীর বাঘায় প্রতিপক্ষের হাসুয়ার কোপে ক্ষতস্থানে ৬৪টি সেলাই নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মিজানুর রহমান। পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রতিপক্ষের হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ দিনে তার অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত ডাক্তার রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের দুঃখু প্রামানিকের ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) দক্ষিণ গাওপাড়া গ্রামের আজিজুল আলমের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (৩৮) শীত মৌসুমে খেজুরের গাছ লাগনো লেবার হিসাবে চুক্তি দেয়া হয়।
চুক্তি মোতাবেক মিজানুর রহমানের কাছে থেকে শরিফুল ইসলাম অগ্রীম ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে খেজুর গাছ লাগানো কাজ করবে না মর্মে জানিয়ে দেয় শফিকুল। কাজ করতে না চাওয়ায় অগ্রীম দেওয়া টাকা ফেরত চায় মিজানুর। এ নিয়ে সোমবার (২ অক্টোম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার পদ্মা পাড়ের রাহাতের ঘাটের দক্ষিণে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে মিজানুর রহমানকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ঘারের পেছনের দিকে কোপ দেয়।
এতে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ৬৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ৫ দিনে তার অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত ডাক্তার রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় তার ভাই শাহিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে।