জামালপুর জেলা মহা-সড়ক নির্মান প্রকল্পে অধিগ্রহন প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়মে সম্পন্ন না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিগ্রহনকৃত ভুমিতে স্থাপিত অবকাঠামো (বসত ঘর) অ্যাওয়ার্ড বহিতে অন্তর্ভুক্ত না করে, আইনগত কোন নোটিশ ছাড়াই একটি পরিবারকে তাদের বসতি অবকাঠামো সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন মহা-সড়ক কর্তৃপক্ষ।
এমন অভিযোগটি করেছেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন ০১ নং ডাংধরা ইউনিয়নের ডাংধরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত, জসি সেখে'র পুত্র মো: ওমর আলী।
সরেজমিনে দেখা যায়, জামালপুর জেলার ধানুয়া কামালপুর, কদমতলা (রৌমারী) জেলা মহা-সড়ক (কামালপুর স্থল বন্দর লিংকসহ) প্রশস্থকরণ ও মজবুতিকরণ নির্মান শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় (২২ কি: মি:) সড়ক নির্মানের জন্য ভূমি এবং স্থাপনা অবকাঠামো অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতাধীন, মো: ওমর আলী'র ০৪ টি স্থাপনার মধ্যে ০২ টি অধিগ্রহণের আওতাতাভূক্ত করে ০২ টি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওমর আলীর'র অবশিষ্ট ০২ টি বসতি স্থাপনা অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত করা হয়নি যা, এখনো আগের অবস্থানে বিদ্যমান রয়েছে।
তাদের ব্যবহৃত এসব অবকাঠামো (২০দ্ধ১৪ ও ২০দ্ধ১৪) ফুট চৌচালা টিনের ঘর, সিমেন্টের খুঁটি, পীড়া ভিটি পাকা মোট ০২ টি স্থাপনা অ্যাওয়ার্ড বহিতে অন্তর্ভূক্ত হয় নাই। মাপণ্ডজরিপে অধিগ্রহণকৃত ভুমিতে অবস্থান হওয়া সত্বেও সার্ভেয়ারের অবহেলার কারণে স্থাপনাগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে দাবি করেন তারা।
তারা আরও বলেন, এসব সার্ভেয়ারের কারসাজি, তার এরূপ কার্যকলাপে এই এলাকায় আরও অনেককেই বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আমরা গরীব, নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই, অবকাঠামো গুলো অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আবেদন করেছি। মহা-সড়ক কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা আইনগত কোন প্রকার নোটিশ প্রদান না করে শুধুমাত্র মৌখিকভাবে স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বারবার চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু, নিজেদের উদ্যোগে এসব স্থানান্তর ও পূন:রায় বাসযোগ্য করার সামর্থ্য আমাদের নাই, আমরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
স্থানীয় আফছার আলী ভূইয়া বলেন, ওনারা আমার প্রতিবেশী, তারা নিতান্তই গরীব মানুষ ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য তাদের নাই। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব তাদের ঘরগুলো অধিগ্রহনের আওতাভূক্ত করে নেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সার্ভেয়ারকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন।