জাতীয় সংসদের আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও উজিরপুর-বানারীপাড়া (বরিশাল-২) আসনের তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনী হাওয়া এখনই বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভ্রাব্য প্রার্থী সরকারের উন্নয়ন প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনী গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন।
বিশেষ করে বিভিন্ন দল থেকে সদ্য যোগদান করা ও ক্ষমতার আমলে পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা নেতাদের সাথে দলের দুর্দীনের ত্যাগী, নির্যাতিত ও অসংখ্য মামলায় কারাবরনকারী নেতাদের বিরোধ এখন চরম আকার ধারন করেছে। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের নেতৃত্বস্থানীয় নেতারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দুর্দীনের ত্যাগী নেতাদের বিভিন্ন মাধ্যমে দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌরঝাপ শুরু করছে অনেক নেতা। কেন্দ্রী নেতাদের নজর কাড়ার জন্য অনেকে এলাকায় সভা সমাবেস ও গণসংযোগ করছে। দলের হাই কমান্ডে চলাচ্ছে লোভিং। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ শাহে আলম নিজ দলের মধ্যেই এবার বেশ ঝুঁকিতে রয়েছেন। ক্ষমতার পাঁচ বছরে তিনি দলে কোন শক্ত অবস্থান করতে পারেননি। তার পরেও তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া এই আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভ্রাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে এ আসনের সাবেক এমপি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস তিনি এবার প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। ওই আসনে মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনি, বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বরিশাল জেলা মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার। তারা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
ছোড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু অত্যন্ত সু-কৌশলে দলগুছিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া সমাজতান্ত্রিক দল বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিচও তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।